বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:৪৩:৩১

বাকস্বাধীনতা আর নবী (স.)-এর অবমাননা কি সমান : প্রশ্ন খামেনির

বাকস্বাধীনতা আর নবী (স.)-এর অবমাননা কি সমান : প্রশ্ন খামেনির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর ব্য'ঙ্গচিত্রে সমর্থন দেয়ায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের তী'ব্র স'মালো'চনা করেছেন ইরানের ধর্মীয় সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি। ফরাসি যুবসমাজের উদ্দেশে নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বার্তায় তিনি ম্যাক্রনের কর্মকান্ডকে 'স্টুপিড এক্ট' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

ফরাসি যুব সমাজের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আপনাদের প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করুন বাক স্বাধীনতার নামে কেন তিনি আল্লাহর রাসুলের অবমাননাকে সমর্থন করেন। বাক স্বাধীনতা আর আল্লাহর প্রেরিত একজন পবিত্র রাসুলের অবমাননা কি এক সমান? এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্টকে যারা ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছেন এই কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি সেইসব ভোটারদেরকে অবমাননা করেছেন বলে দাবি করেন খামেনি।  

তিনি প্রশ্ন করেন, যেসব মানুষ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন, তিনি এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কি তাদেরকে অবমাননা করছেন না? উল্লেখ্য, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র ব্যবহার করে প্যারিসের একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছিলেন একজন শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি। এ জন্য প্রকাশ্যে দিনের বেলা তার শিরাচ্ছেদ করে এক চেচেন মুসলিম যুবক। পরে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মহানবী (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র ব্যবহারের পক্ষে অনুমোদন দেন এবং ইসলামের সঙ্গে স'ন্ত্রা'সকে জড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। 

তার এমন আচরণে সারা মুসলিম জাহানে প্রতি'বাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ওই মন্তব্য করেন। তিনি ফরাসি যুবসমাজের প্রতি আরো প্রশ্ন রেখেছেন। জানতে চেয়েছেন, তারপরের প্রশ্ন হলো, প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চান কেন হলোকাস্ট নিয়ে সং'শ'য় প্রকা'শ করা একটি অ'পরা'ধ হবে? যখন মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)'কে অবমাননাকে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে, তখন কেন কোনো মানুষ হলোকাস্ট নিয়ে সং'শয়ের কোনো কিছু লিখলে তাকে জেলে যেতে হবে?

ইসলাম ও নবী (স.)-কে নিয়ে ইমানুয়েল ম্যাক্রন বক্তব্য দেয়ার পর বিশ্বজুড়ে ইসলামিক চিন্তাবিদ, ধার্মিকদের মধ্যে তী'ব্র প্রতি'ক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ম্যাক্রনের মানসিক রোগের চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। নি'ন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি ইসলামের অবমাননা হয় এমন কনটেন্ট ফেসবুক থেকে মুছে দিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। ইরানের অন্য রাজনীতিকরাও ক'ড়া স'মালো'চনা করেছেন ম্যাক্রনের। 

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি থেকে শুরু করে সব শ্রেণির নেতারা এর নিন্দা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রুহানি বুধবার সত'র্ক করেছেন এই বলে যে, মহানবী (স.)-এর অব'মাননা অনৈ'তিক ও এর ফলে সহিং'সতা, র'ক্তপা'তকে উৎসাহিত করা হতে পারে। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমাদের বোঝা উচিত যে, মহানবী (স.)কে অবমাননা মানে সব মুসলিমকে, সব নবীকে, সব মানবিক মূল্যবোধকে অবমাননা ও সব নীতিকে পি'ষ্ট করার সমান। মহানবী ছিলেন মানবতাবাদের শিক্ষক, এ জন্য নবী (স.)-এর প্রতি প্রতিটি ইউরোপীয়ানের ঋণী থাকা উচিত।  সূত্র : এএফপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে