আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইরানের তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই দেশটির সেনাবাহিনী স্বল্প-পাল্লার বিধ্বংসী নৌ ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালিয়েছে। বুধবার ইরান এই দেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি। মাকরান নামের রণতরী তৈরি করেছে ইরান। সেই রণতরীতেই এই মহড়া চালিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টার অবতরণের প্যাড সম্বলিত মাকরান ইরানের সবচেয়ে বড় রণতরী। এর ওপর ৫টি হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারবে। এছাড়া মহড়ায় আরেকটি জাহাজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম। পশ্চিমারা ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে আনাদলু এজেন্সি বলছে, ইরানের রণতরীটি পারস্য উপসাগরে মানবিক কাজ ও বিশেষ অপারেশন ছাড়াও এন্টি সাবমেরিন ও এন্টি মাইন হিসেবে ব্যবহার করা হবে। মধ্যপ্রাচ্যে বৃহৎ ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থাকা অন্যতম দেশ ইরান। যুদ্ধের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শত্রু মোকাবেলায় এই অস্ত্রকে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসাবে বিবেচনা করে দেশটি।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ওমান সাগরে দুই দিনের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ার অংশ হিসেবে সাগর থেকে ভূমিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, বিশেষ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা ও মানববিহীন যান (ড্রোন) মোতায়েন করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকগুলোতে ইরানের তহবিল আটকে থাকা নিয়ে বিরোধের মধ্যে গত সপ্তাহে পারস্য উপসাগরে দক্ষিণ কোরীয় ট্যাংকার আটক করে ইরান। ঘটনাটি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে সিউলের উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়া শুরু হল।