শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২১, ০৩:৪৭:৫৪

মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রাজীব

মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রাজীব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কেঁদে ফেললেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ইস্তফা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রাজীব। এদিন তিনি বলেন, 'খুব খারাপ লাগছে। আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। খুবই বেদনাগ্রস্ত হয়েছি। কোনও দিন ভাবিনি এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে মার্জনা করবেন। যতদিন বেঁচে থাকব আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। উনি আমায় কাজের সুযোগ দিয়েছেন। নতমস্তকে ওঁকে প্রণাম জানাচ্ছি। হয়তো এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতাম না। কিন্তু গত এক মাস মানসিক দ্বন্দ্ব হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিলাম'।

মন্ত্রিসভা থেকে বিদায়বেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এদিন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, 'আড়াই বছর আগে আমার দফতর বদলানো হয়। বদলের সময় মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্য দেখাননি। টিভির ব্রেকিং নিউজ দেখে জানতে হয়েছে এ খবর'।

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'দলের প্রতি অসন্তোষের কথা দলনেত্রীকে বহুবার বলেছিলাম। দলের কয়েকজন সহকর্মীদেরও অসন্তোষের কথা বলেছিলাম। কিন্তু, এক-দেড় মাস আমার দলের সহকর্মীদের ও সতীর্থদের কথা আমায় আঘাত করেছে। বেদনাগ্রস্ত হয়েছি। তবে, আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করি না। কখনও ব্যক্তিগত কুৎসা করব না'। তবে, তিনি কি BJP-তে যোগ দেবেন? তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়বেন? এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান রাজীব। অবশ্য, প্রাক্তন বনমন্ত্রী এদিন বলেন, 'মানুষ বিচার করবে কী কাজ করেছি'।

গত কয়েকদিন ধরে দীর্ঘ জল্পনার পর এদিন বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। রাজভবনে গিয়ে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎও সারেন তৃণমূল বিধায়ক। রাজীবের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। এদিন, ফেসবুকে পোস্টে মন্ত্রীত্ব ছাড়ার কথা জানান রাজীব। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই মন্ত্রী 'বেসুরো' ছিলেন। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভেও দলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল রাজীবকে। মন্ত্রী পদে ইস্তফার পর তাঁর BJP-তে যোগদানের সম্ভাবনা আরও জোরালো হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।-এই সময়

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে