আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমলিঙ্গ বিবাহে আপত্তি আছে ভারত সরকারের। দিল্লি হাইকোর্টকে বৃহস্পতিবার অবস্থান স্পষ্ট করে জানাল ভারতের মোদি সরকার। সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি স্বীকৃতি চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে একাধিক আবেদন। সেই আবেদন হিন্দু বিবাহ আইন, স্পেশাল বিবাহ আইন এবং বিদেশি বিবাহ আইনের আওতায় সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি স্বীকৃতি দাবি করা হয়েছে।
সেই আবেদনের শুনানিতে ভারত সরকারের অবস্থান কী, জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিশের জবাবে সরকার জানিয়েছে, সমলিঙ্গে বিবাহ, ভারতীয় বৈবাহিক সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। দেশের প্রচলিত পরিবার সংস্কৃতির পরিপন্থী। একই ভাবে সমকামী যুগলের লিভ ইন এবং যৌন সম্পর্কের বিরোধিতায় এদিন আদালতে সরব হয়েছিল ভারত সরকার।
ভারত সরকারের তরফে দাবি, ''ভারতীয় পরিবার সংস্কৃতি, স্বামী, স্ত্রী, সন্তান। সেই সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নয় সমলিঙ্গ বিবাহ। এবং সেই প্রচলিত সংস্কৃতির পরিপন্থী সমকামী যুগলের লিভ ইন এবং যৌন সম্পর্ক। ভারতীয় রীতিতে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের একটা পবিত্রতা আছে। দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তেও এই প্রতিষ্ঠানকে পবিত্র ধরে নেওয়া হয়। ভারতে বিয়ে মানে একজন নারী ও পুরুষের বন্ধন। বহু প্রাচীন রীতি, নীতি, প্রথা এবং সামাজিক বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে বিবাহ।''
সরকারের তরফে যুক্তি, ''ইতিমধ্যে সমকামিতাকে আইপিসির ৩৭৭ ধারা মোতাবেক ফৌজদারি আইনের বাইরে আনা হয়েছে। কিন্তু সেই মোতাবেক সমলিঙ্গ বিবাহকে মৌলিক অধিকার বলে দাবি করতে পারেন না আবেদনকারীরা। ফলে ভারতীয় আইনের আওতাধীনে সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।''
দিল্লি হাইকোর্টে দাখিল করা হলফনামায় কেন্দ্রের উল্লেখ, ''সমলিঙ্গ বিবাহ তখনই স্বীকৃতি পেতে পারে যখন সংসদ কিংবা বিধানসভাগুলোতে এর সমর্থনে আইন আনা হবে। এর বাইরে ভারতে প্রচলিত কোনও আইনে এই বিয়েতে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। একমাত্র আইনসভা পারে সংশোধন এনে সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে। যে বিষয়টি বিচারসভার এক্তিয়ার বহির্ভূত।''