আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোনও অনুষ্ঠান কিংবা জনসভায় বক্তব্য রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুগ্ধ হয়ে শুনছেন শ্রোতারা। উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন দলীয় কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনে হাততালি দিচ্ছেন দর্শকদের অনেকে। মোদির জনসভা বা ভাষণে এই দৃশ্যই মূলত দেখা যায়। প্রত্যেকদিনই কোথাও না কোথাও বক্তব্য রাখেন তিনি।
কখনও দলীয় সভায়, কখনও আন্তর্জাতিক কোনও মঞ্চে তো কখনও আবার সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে। কিন্তু কে লিখে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তৃতা? কারা যুক্ত থাকেন এই কর্মযজ্ঞে? সম্প্রতি রাইটস টু ইনর্ফমেশন (আরটিআই) এর মাধ্যমে এই প্রশ্নই জানতে চাওয়া হয়েছিল। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'ইন্ডিয়া টুডে টিভি'র পক্ষ থেকে অশোক কুমার উপাধ্যায় নামে একজন আরটিআই-টি করেছিলেন।
খোদ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সেই প্রশ্নের জবাবও দেওয়া হয়েছে। তাতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা অনেকেই লিখতে সাহায্য করেন। নানা রকম তথ্য সরবরাহ করেন তারা। তবে সব শেষে সেই বক্তৃতা নিজেই তৈরি করেন মোদি। আরটিআই-এ বলা হয়েছে, ''অনুষ্ঠান অনুযায়ী বক্তৃতা তৈরি করা হয়। বিভিন্ন ব্যক্তি, আধিকারিক, সংস্থা এই কাজে যুক্ত থাকে। তারাই বিভিন্ন রকম তথ্য দেন। আর সবশেষে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেই বক্তৃতাটি তৈরি করেন।''
কারা লেখেন কিংবা কীভাবে মোদির এই বক্তৃতা তৈরি হয়, সে ব্যাপারে জানালেও এই কাজের জন্য ওই সংস্থা বা কোনও ব্যক্তিকে ঠিক কত টাকা দেওয়া হয়? সে কথা জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে সুবক্তা হিসেবে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, অটল বিহারী বাজপেয়ীর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। সেই তালিকায় রাখা হয় নরেন্দ্র মোদিকেও। তবে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেই অনেক সময় তথ্যের জন্য অন্যের সহায়তা নেওয়া হয়ে থাকে।