মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১, ০৪:৩৮:৩৬

কুখ্যাত যৌন অপরাধীর সঙ্গে বিলের ‘যোগাযোগে’ সম্পর্ক ভাঙলেন মেলিন্ডা!

কুখ্যাত যৌন অপরাধীর সঙ্গে বিলের ‘যোগাযোগে’ সম্পর্ক ভাঙলেন মেলিন্ডা!

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতির ২৭ বছরের সংসার ভেঙেছে গত ৩ মে। তবে কী কারণে এই বয়সে এসে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন তারা – সে জল্পনা এখনও চলেছে।

বিল-মেলিন্ডার বিচ্ছেদে ঝি শেলি ওয়াং নামের এক চীনা সুন্দরী দায়ী করা হচ্ছে শুরু থেকেই। বিলের সাবেক প্রেমিকা অ্যান উইনব্ল্যাডকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।

তবে অনেক মার্কিন নাগরিকের ধারণা, ব্যস্ত পৃথিবীতে কেউ কাউকে সময় দিতে না পারার কারণে সম্পর্কে ফাটল ধরে বিল-মেলিন্ডার। যা এক সময় অসহনীয় হয়ে পড়ে মেলিন্ডার জন্য। শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের পথেই হাঁটেন তারা।

এবার বিল-মেলিন্ডার বিচ্ছেদে জানা গেল আরো এক কারণ। যা বিস্ময়কর ও চাঞ্চল্যকর বটে।

দোষী সাব্যস্ত হওয়া আমেরিকার কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এডওয়ার্ড এপস্টেইনের সঙ্গে বিল গেটসের ‘যোগাযোগ’ থাকার কারণেই নাকি সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেলিন্ডা!

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ (ডব্লুএসজে)-এর একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

ডব্লুএসজে-র দাবি, ২০১৩ সাল থেকে জেফ্রির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধনকুবের বিলের। অপরাধী জেফরি সঙ্গে স্বামীর এই ‘সম্পর্ক’ নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলেন মেলিন্ডা। বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার। আর সেই কারণেই সম্পর্কে ইতি টানতে ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন সংস্থার আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করা শুরু করেন মেলিন্ডা। কিন্তু কোনো মতেই বিলকে থামাতে না পেরে অবশেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে জেফরি এডওয়ার্ড এপস্টেইন ঘৃণ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। একাধিক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ছিলেন এই মার্কিন ধনকুবের। শিশু–কিশোরীদের পাচার ও জোর করে যৌনদাসীর কাজ করানোর মতো গুরুতর অভিযোগে কারাবাসে ছিলেন জেফরি এপস্টেইন।

তার বিরুদ্ধে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী অন্তত ৪০ জন মেয়েকে জোরপূর্বক যৌনকর্মে অংশ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ৬ জুলাই নিউজার্সিতে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন তিনি।

আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে শেষ জীবনে কারাভোগ করেন জেফরি। ২০১৯ সালে ৬৬ বছর বয়সে কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় এই নারী নিপীড়কের।

সে সময় গুঞ্জন উঠেছিল, নিউইয়র্কের সেই কারাগারে ভেতরেই আত্মহত্যা করেছেন এপস্টেইন। কেননা সাজাভোগের সময় কারাগারে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এপস্টেইন। আবার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সামনে এনে অনেকে বলেছিলেন, আত্মহত্যা নয়, কারাগারে খুন হয়েছেন এপস্টেইন। তার বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নামী কেউ যুক্ত থাকতে পারেন বলে তাকে খুন করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন থেকে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বহু মার্কিন রাজনীতিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল জেফরির। তাদের নির্বাচনী প্রচারে অর্থ ঢেলেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে নিউইয়র্কের এক সাময়িকীতে এপস্টেইনকে ‘চমৎকার মানুষ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন ট্রাম্প। সে হিসেবে মার্কিন ধনকুবের বিল গেটসের সঙ্গেও প্রয়াত জেফরির সম্পর্ক থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মনে করছেন অনেকে।

তথ্যসূত্র: গার্ডিয়ান, ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, মেট্রো ইউকে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে