শুক্রবার, ১৪ মে, ২০২১, ১২:০৭:৪৫

ইসরায়েলের যেকোনো প্রান্তে আঘাত হানতে সক্ষম হামাসের ‘আইয়াশ-২৫০’

ইসরায়েলের যেকোনো প্রান্তে আঘাত হানতে সক্ষম হামাসের ‘আইয়াশ-২৫০’

ইসরায়েলের যেকোনো প্রান্তে আঘাত হানতে সক্ষম হামাসের ‘আইয়াশ-২৫০’ ইসরায়েলের যেকোনো প্রান্তে আঘাত হানতে সক্ষম হামাসের ‘আইয়াশ-২৫০’ ইসরায়েলি দখলদারদের আক্রমণের জবাবে পাল্টা আঘাত শুরু করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ইতোমধ্যে ইসরায়েলিদের অত্যাধুনিক আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁক গলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আঘাত হেনেছে হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র। বিশেষ করে ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর তেল আবিবে একের পর এক রকেট হামলা চালানো হয়েছে, যার জেরে গোটা শহরে সতর্কতা সাইরেন বাজানো হয়। এছাড়া তেল আবিবের কাছাকাছি অবস্থিত ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিওন রকেট হামলার জেরে বন্ধই করে দেয়া হয়েছে। এরপর রামন বিমানবন্দর দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সেখানেও আঘাত হেনেছে হামাস। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের ‘আইয়াশ-২৫০’ আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের যেকোনো স্থানে হামলা করতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি হামাসের প্রয়াত নেতা ইয়াহিয়া আইয়াশের নামে নামকরণ করা হয়েছে। তিনি ১৯৯৬ সালের ৫ জানুয়ারি শিনবেত এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। মধ্যম পাল্লার ‘আইয়াশ’ ক্ষেপণাস্ত্রটির ২৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে ইসরায়েলে লাগাতার রকেট হামলা চালালেও এখনো প্রধান ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়নি বলে জানিয়েছে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল আরোয়ি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলে হামলায় এ পর্যন্ত ব্যবহৃত সব ক্ষেপণাস্ত্রই ছিল পুরোনো, মূল ক্ষেপণাস্ত্র আমরা এখনো ব্যবহার করিনি। হামাসের এ নেতা জানান, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মাসের পর মাস শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। আল-আকসা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের কয়েকজন কমান্ডারের শাহাদাতের কারণে প্রতিরোধ সংগ্রাম দুর্বল হয়ে পড়বে, শত্রুদের এমন ভাবনা মারাত্মক ভুল। বাস্তবে প্রতিরোধ প্রতিদিনই আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সূত্র: পার্স টুডে, আল জাজিরা

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে