শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২, ০৪:৩৬:০৫

ছেলের আবদার মেটাতে গিয়ে রাতারাতি কোটিপতি!

ছেলের আবদার মেটাতে গিয়ে রাতারাতি কোটিপতি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ছেলের আবদার মেটাতে ৩০ রুপি দিয়ে লটারির টিকিট কিনেছিলেন জগন্নাথ মণ্ডল। আর তাতে  ভাগ্য বদলে গেছে তার। সেই লটারিই ছিল প্রথম পুরস্কার ১ কোটি রুপির। মাত্র ৩০ রুপিতে কেনা লটারিতে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন জগন্নাথ।

সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বাসিন্দা জগন্নাথ মণ্ডল। সেখানে নদীয়ার রানাঘাট থানার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের উকিলনাড়ায় বসবাস করেন তিনি। গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী ভিলেজ রিসোর্স পার্সনের চাকরি করে মাসে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পান। তাই দিয়েই চলে জগন্নাথের সংসার।

গত ২৭ জুলাই দুপুরে পায়রাডাঙ্গার উকিলনাড়া এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন জগন্নাথ।  এ সময় তার এক ছেলে লটারি কেনার বায়না ধরে।  পকেটে খুব বেশি টাকা না থাকায় প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না জগন্নাথভ পরে ছেলের জোরাজুরিতে ৩০ রুপি দিয়ে কিনেই ফেলেন একটি লটারি।

এদিন বিকেলেই ছিল লটারির ড্র। জগন্নাথ যখন জানতে পারেন, ১ কোটি রুপির প্রথম পুরষ্কারটা তারই। তখন স্বপ্নের ঘোরে চলে গেলেন। কিছুটা সময় ছিলেন নির্বাক। হাসবেন না কাঁদবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। 

নিজেকে ফিরে পেলে দৌড়ে ছুটে যান বাড়িতে। স্ত্রী মিতালি মণ্ডলকে সুখবরটি দেন।  এ খবরে স্ত্রীর চোখ গড়িয়ে আনন্দ অশ্রু পড়ে।
এ দিকে জগন্নাথের লটারি জেতার খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা নদীয়া জেলায় সাড়া পড়ে যায়। অনেকেই তাকে দেখতে আসেন।

রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় গণমাধ্যমকে জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, লটারি কেনার অভ্যাস আমার ছিল না। মাসে একবার আমার ওই ছেলেটি এলে ৩০ রুপির লটারি কাটতাম। বুধবারেও কেটেছিলাম, তবে সেটাতে এত টাকা বাধবে ভাবিনি।

জগন্নাথের স্ত্রী মিতালী দেবী বলেন, ভাগ্যদেবতা আমাদের দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন। আমরা কোটি রুপির মালিক হবো তা কোনোদিনও ভাবিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে