আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কোলে বসে এক বছরের সন্তান। রোদ-বৃষ্টি, শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই ইজিবাইক চালান মা। সন্তানকে মানুষ করতে এই মহিলার হার না মানার কাহিনি শুনে স্তম্ভিত সাধারণ মানুষও।
চঞ্চল শর্মা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে তার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তুমুল অশান্তি করতেন তার স্বামী। মারধরও করতেন। তিন বছরের মধ্যেই তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এরপরই আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। সন্তানকে নিয়ে সংসার টানতে রোজগারের পথ খুঁজতে থাকেন।
ই-রিক্সা চালাতে চাইলেও, শুরুর দিকে অন্যান্য চালকরা তাকে অনুমতি দেননি। যে রুটে বর্তমানে তিনি ই-রিক্সা চালান, সেখানে চালাতেও বাধা দেন। এরপর ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় অনুমতি পান চঞ্চল।
তিনি জানান, তার মা সবজি বিক্রি করে সংসার চালান। তিন বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কখনও মায়ের কাছে, কখনও আবার বোনেদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। দিনে ৩০০ থেকে ৪০০টাকা উপার্জন করেন। অন্য ধরনের কাজে যোগ দিলে সন্তানকে কোথাও রেখে কাজ করতে হত।
তাই ই-রিক্সা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন চঞ্চল। এর ফলে সন্তানকে কাছেই রাখতে পারেন। গাড়িতেই থাকে ফিডিং বোতল। সেখান থেকে মাঝে মধ্যে তিনি সন্তানকে দুধ খাওয়ান। এরপর দুপুরে একবার বাড়ি ফিরে সন্তানকে স্নান করিয়ে খাইয়ে ফের ইজিবাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি।
ভারতের রাজধানী দিল্লীর অদূরে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন নয়ডার সেক্টর ৬২তে ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিকালস থেকে সেক্টর ৫৯ লেবার চক পর্যন্ত রাস্তায় টোটো চালান তিনি। স্বামী ছেড়ে দিয়েছেন, এক বছরের সন্তান কোলে এক মায়ের হার না মানার লড়াই এখন আলোচনায় উঠে এসেছে।