শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২, ০৭:৩২:১৮

ব্রিটেনের পর এবার ভারতীয়দের জন্য সৌদি আরবের 'সুখবর'

ব্রিটেনের পর এবার ভারতীয়দের জন্য সৌদি আরবের 'সুখবর'

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটেনের পর এবার সৌদি আরব। ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দিচ্ছে মধ্য-প্রাচ্যের এই দেশ। ভারত থেকে সৌদি আরবে যেতে গেলে এখন থেকে আর পুলিশি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে না। 

বৃহস্পতিবার টুইট করে একথা জানিয়েছে দিল্লির সৌদি দূতাবাস। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালি করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে ওই টুইটে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সিদ্ধান্তের পিছনে কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২ মিলিয়নের বেশি ভারতীয় বসবাস করেন। এর আগে চলতি বছরের অগাস্টে ভিসার নিয়মে কড়াকড়ি করেছিল সৌদি প্রশাসন। ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। গত ২২ আগস্ট থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই সেই অবস্থান থেকে সরে এলো সৌদি প্রশাসন।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চলতি বছরে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হয়েছিল। ওই মন্তব্যকে অপমানজনক বলেই উল্লেখ করেছিল সৌদি প্রশাসন। পাশাপাশি, এই ইস্যুতে ক্ষোভপ্রকাশও করেছিল রিয়াদ। 

সৌদির ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি ভারতকে শ্রদ্ধাশীল হওয়ার পরামর্শও দিয়েছিল সেদেশের বিদেশ মন্ত্রনালয়। এরপরই পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি। সৌদি প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার আলোচনা চালান তারা। শুধু তাই নয়, সৌদি সফরে গিয়ে সেদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে ভিন দেশ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের আসা বন্ধ করতে পদক্ষেপ শুরু করেছে সৌদি প্রশাসন। সেই পদক্ষেপে এখনই ভারতীয়রা সমস্যার মুখে পড়বে না বলেই মনে করছেন সৌদির কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সৌদি আরবের আগে ভারতীয়দের ভিসা দেওয়া নিয়ে বড় ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার।

গত ১৬ নভেম্বর ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার নীতির সরলীকরণের কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের অফিস। ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রনালয়ের তরফে দেওয়া এক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী প্রায় ৩ হাজার ভারতীয় পেশাদারকে দুই বছরের জন্য ব্রিটেনের তরফে ভিসা দেওয়া হবে। 

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ভারতই প্রথম এই ধরনের ভিসা স্কিমের সুবিধা পাবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালে ভারত-ব্রিটেন অভিবাসন নীতিতে আরও মজবুত করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে এই স্কিম ঘোষণা বলে জানায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে