রবিবার, ২১ মে, ২০২৩, ০৯:৫০:২৪

দুঃসংবাদ! ভারতের ৭ রাজ্যে যে ভয়ংকর সতর্ক বার্তা

দুঃসংবাদ! ভারতের ৭ রাজ্যে যে ভয়ংকর সতর্ক বার্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কালবৈশাখীর পূর্বাভাসই সার। বিন্দুমাত্র রেহাই নেই গরম থেকেই। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির কারণে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে জ্বালাপোড়া গরম। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হলেও গুমোট গরম থেকে মুক্তি মিলছে না কিছুতেই। এরই মাঝে আরও বড় দুঃসংবাদ শোনাল IMD। সতর্ক বার্তা, আগামী কয়েকদিনে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের সাক্ষী থাকবে বাংলা।

কোন কোন রাজ্যে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা? কেবলমাত্র এ রাজ্যই নয়, মোট সাতটি রাজ্য দুর্বিসহ তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। আগামী দু'থেকে তিনদিনের মধ্যে দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে IMD। উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং মধ্য প্রদেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মৌসম ভবনের লেটেস্ট বুলেটিন জানাচ্ছে, মে মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশ এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক অঞ্চলে মারাত্মক লু বইবে। ২১ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড, দক্ষিণ হরিয়ানা, পশ্চিম রাজস্থানে লু বইবে। আর মধ্য প্রদেশ এই হিটওয়েভের সাক্ষী থাকবে রবি ও সোমবার।

আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির জেরে নাজেহাল হবেন ওডিশা, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালার মানুষজন। মহারাষ্ট্রের কঙ্কন উপকূলেও জ্বালাপোড়া গরম অনুভূত হবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে গোটা দেশ জুড়েই মাত্রাতিরিক্ত অস্বস্তিকর গরম পড়বে।

দেশের রাজধানী শহরও আগামী তিনদিন মারাত্মক গরমের সাক্ষী থাকতে চলেছে। দিল্লিতে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তাপমাত্রার পারদ থাকবে ৪১ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হিটওয়েভ চলাকালীণ অন্তঃসত্ত্বা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে থেকে না বেরনোর পরামর্শ। উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও বাড়িতে থাকার কথা বলা হচ্ছে।

যদিও এই তাপপ্রবাহের সতর্কতার মাঝেই কিছুটা হলেও স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে IMD। নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হচ্ছে। যা আগামী ২৩ এবং ২৪ তারিখ খানিকটা বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে। অসম এবং মেঘালয়ে আগামী ২২ তারিখের পর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ২৩ তারিখের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে অন্ধ্র প্রদেশ, কেরালা, তামিলনাড়ুতে আগামী শুক্রবারের পর। তেলUনা, দক্ষিণ কর্নাটকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভিজবে তার আগেই। এ বছর নির্ধারিত সময় প্রবেশ করতে না বর্ষাও। প্রতি বছর কেরালায় বর্ষা প্রবেশের দিন ১ জুলাই। কিন্তু, এবার চারদিন পিছিয়ে বর্ষা প্রবেশ করবে ৪ জুলাই। ফলে খানিকটা হলে ওঅন্য রাজ্যগুলিতেও এর প্রভাব পড়বে। প্রভাব পড়বে চাষাবাদেও।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে