সোমবার, ২২ মে, ২০২৩, ১০:২৭:৩৪

বিয়ে কী? ছাত্রের উত্তর দেখে হাসিতে লুটোপুটি, কপালে চোখ উঠলো সবার

বিয়ে কী? ছাত্রের উত্তর দেখে হাসিতে লুটোপুটি, কপালে চোখ উঠলো সবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পরীক্ষাতে অনেক সময় জানা প্রশ্নেরও ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারে না শিক্ষার্থীরা। আবার অজানা প্রশ্নের মাঝে মাঝে এমন উত্তর দেয় যা দেখে শিক্ষকদের চোখ কপালে উঠে যায়। সম্প্রতি তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর পরীক্ষার উত্তরপত্র ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উত্তরপত্রে শিক্ষার্থী যা লিখেছে, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। উত্তরটি দেখে হাসিতে লুটোপুটি খাচ্ছে তারা। কেউ কেউ আবার শিক্ষককেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন।

তৃতীয় শ্রেণীর সোশ্যাল সায়েন্সের পরীক্ষাতে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিয়ে কী? এর প্রশ্নের ১০ নম্বরের উত্তর চাওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের থেকে। আসলে ‘বিয়ে’ নামক সামাজিক প্রথা সম্পর্কে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের কী ধরনের ধারণা রয়েছে সেটা বিচার করাই ছিল এই প্রশ্নের উত্তর। এদিকে এই প্রশ্নের জবাবে এক ছাত্র যা লিখেছে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হল সকলের। তবে কী এমন আছে উত্তরপত্রে?

এই প্রশ্নের উত্তরে তৃতীয় শ্রেণীর পরীক্ষার্থীটি নিজের মতো সাজিয়ে উত্তরে লিখেছে, যখন কোনো মেয়েকে তার মা-বাবা বলে যে, তুমি বড়ো হয়ে গেছো, তোমাকে আর আমরা খাওয়াতে পারব না, বাইরে গিয়ে এমন মানুষকে খোঁজো যে তোমাকে খাওয়াতে পারবে এবং এই অবস্থায় মেয়েটির দেখা হয় একটি ছেলের সঙ্গে, যার বাবা-মা’ও তাকে বকাঝকা করতে থাকে এবং বিয়ের চাপ দিয়ে বলতে থাকে, তুমি এবার বড়ো হয়ে গেছো।

তখনই বিয়ে হয়। দুইজনেই একে অপরকে পরীক্ষা করে এবং একে অপরের সঙ্গে থাকতে রাজি হয়। এরপরে তারা সন্তান প্রাপ্তির জন্য উল্টোপাল্টা কাজ করতে থাকে। তখন সন্তানের জন্ম হয়।”

এমন উত্তর দেখে শিক্ষকের তো রীতিমত মাথায় হাত। তিনি দশের মধ্যে শূন্য বসিয়ে দিয়েছেন নম্বরের ঘরে। সেই সঙ্গে বড় বড় অক্ষরে উত্তরের উপর লিখে দিয়েছেন ননসেন্স। আর নিচে লিখেছেন, “আমার সঙ্গে দেখা করো।”

সোশ্যাল মিডিয়াতে এই উত্তরপত্রটি ছড়িয়ে যাওয়ার পর নেটিজেনেরা এই নিয়ে হাসাহাসি করতে শুরু করে দিয়েছেন। কেউ লিখছেন, বিয়ে সম্পর্কে প্রথম এত কিছু জানলেন। কেউ কেউ আবার শেষ বাক্যটিতে বেশ মজা পেয়েছেন। ওই শিশু যে মাথা খাটিয়ে এতকিছু লিখেছে তা দেখে বেশ অবাক হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা।

যদিও কারও কারও মতে তৃতীয় শ্রেণীর একটা বাচ্চাকে এমন প্রশ্ন করাটাই ভুল হয়েছে। তারপরেও সেজে গুছিয়ে উত্তর দিতে পেরেছে তার জন্য বাচ্চাটিকে তিরস্কার নয় বরং ধন্যবাদ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকে। ছোট্ট শিশুকে এমন প্রশ্ন করার জন্য ওই শিক্ষককেই ‘অযোগ্য’ বলে তিরস্কার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এই উত্তরপত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার নিয়েও উঠেছে আপত্তি। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে বলেছেন, তৃতীয় শ্রেণির পরীক্ষায় এ রকম প্রশ্ন দেওয়া কিছুতেই উচিত নয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে