বৃহস্পতিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০১৮, ০৯:৫৭:০৬

‘যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাহায্য নিলেন প্রবীর মিত্র’

‘যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাহায্য নিলেন প্রবীর মিত্র’

মহিব আল হাসান : প্রবীর মিত্র বাংলা চলচ্চিত্রের একজন শক্তিমান অভিনেতা। ঢাকাই সিনেমায় চার দশক পার করেছেন তিনি। বর্তমানে তার বয়স ৭৮ বছর। তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে সেগুন বাগিচার একটি ভাড়া বাড়িতে জীবন কাটছে তার। স্ত্রী অজান্তা ২০০০ সালে মারা যান। এরপর থেকে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে জীবন কাটছে তার। অভিনয় জীবনের চল্লিশ বছর পার করলেও তিনি এখনও ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

এত বছর অভিনয় করে সঞ্চয় কেনো করতে পারেননি, কেনোইবা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আবাসানের জন্য সাহায্য নিতে হলো? এ বিষয়ে আমাদের সময় ডট কমকে প্রবীর মিত্র বলেন, ‘অভিনয় জীবনের কোনো চরিত্র করতে বাকি রাখিনি। আমার অভিনয় জীবন দীর্ঘ সময়ের, তারপরও কেনো নিজের আবাসন করতে পারিনি সেটা সবাই প্রশ্ন করতে পারেন। মূলত আমার তিন ছেলে-মেয়েকে পড়াশুনা শেষ করিয়েছি। তাদের পেছনেই সঞ্চিত সব টাকা খরচ হয়ে গেছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে অভিনয়ের জন্য যে টাকাটা পেতাম তা খুব বেশি ছিল না । সবাই দাদা দাদা বলে অনেক ছবির টাকা দিতনা। আমার অনেক টাকা প্রযোজক-পরিচালকরা মেরে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার অনেক আগে থেকে ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। আমার থাকার আবাসান তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করা। জীবনের শেষ সময় এসে একটি বাড়ির বিশেষ প্রয়োজন মনে করেছি তাই কোনও উপায় না পেয়ে আমার অনুদান নেওয়া।

ছেলেমেয়েরা দেখাশুনা করে না জানতে চাইলে তিনি জানান, ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা শেষ করে চাকরীর জন্য ঘুরছে। কিন্ত তাদের চাকরী হচ্ছে না। তাদের একটা ব্যবস্থা হলে হয়ত আমার কোনো চিন্তা থাকত না।

আপনি জীবনে কোন জুয়ার, মদ, সিগারেট খাননি তবে কেনো সঞ্চয় করতে পারেননি? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রবীর মিত্র জানান, আমি সিনেমায় অভিনয় করেছি তার কোন ছবিতেই আমার ন্যায্য পাওনা পাইনি। আমি যেটুকু পেয়েছি তা দিয়ে বাসা ভাড়া খাওয়া আর সন্তানদের শিক্ষিত করতে পেরেছি। এর বেশিকিছু করতে পারিনি।

সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প ‘ডাকঘর’ এ প্রহরীর চরিত্রে দিয়ে অভিনয় শুরু করেন প্রবীর মিত্র। এইচ আকবর পরিচালত ‘জলছবি’ ছবিতে চিকিৎসকের চরিত্রের মধ্যে দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে সূচনা হয় তাঁর। এরপর একই পরিচালকের ‘জীবন তৃষ্ণা’ ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাবুক’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে। প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজন্তা ২০০০ সালে মারা গেছেন। প্রবীর মিত্রের এক মেয়ে ও তিন ছেলে।
সূত্র: আমাদের সময়

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে