সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ০৪:৫৭:১০

ভোট দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার অমৃতা খান

ভোট দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার অমৃতা খান

বিনোদন ডেস্ক : ভোট দিতে গিয়ে হ'য়রা'নির শি'কা'র হয়েছেন চিত্রনায়িকা অমৃতা খান। ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্বেও ৪ ঘণ্টা চেষ্টা করেও গত শুক্রবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোট দিতে পারেননি তিনি।

অমৃতা বলেন, 'ভোটার তালিকায় আমার নাম ছিল, এফডিসির গেট দিয়ে প্রবেশ করে ভোটার ফরমে সাক্ষর করে আমি বুথে আসি। সেখানে রুবেল ভাইও ছিলেন (চিত্রনায়ক রুবেল) কিন্তু বুথে বলা হয় কার্ড কোথায়? কার্ড ছাড়া তো ভোট দেওয়া যাবে না।'

অমৃতা জানান, গেটে প্রবেশের পর তার সাক্ষর নেওয়া হলেও তাকে কোনো কার্ড দেওয়া হয়নি। যার কারণে ভোট দিতে গিয়ে ফিরে আসতে ধরেন তিনি। তবে ফিরে আসার আগে গেটের কাছে এসে খোঁজ নেন তার কার্ডের জন্য। কিন্তু দায়িত্বরতরা অমৃতাকে কার্ড দিতে পারেননি। 'মিসিং' হিসেবে উল্লেখ করেন। 

ভোট দিতে বিরত থেকে এফডিসি থেকে ফেরত যাওয়ার সময় অভিনেত্রী নাসরিনের আহবানে আরও একবার চেষ্টা করেছেন কার্ড সংগ্রহের জন্য। এসব করতে গিয়ে চার ঘণ্টা অতিক্রম হয়েছে, বিভিন্ন জনের দারস্থ হয়েছেন, ওমর সানির কাছে গিয়েছেনে, জায়েদ খানের কাছে গিয়েছেন কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভোট না দিয়েই ফিরে আসতে হয়েছে অভিনেত্রী অমৃতা খানকে।

পরে অভিনেতা ড্যানি সিডাকের সহায়তায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করেন। ইলিয়াস কাঞ্চন কার্ড বন্টনের দায়িত্বে থাকা জ্যাকি আলমগীরকে তলব করেন। জ্যাকি আলমগীর নির্বাচন কমিশনে এসে জানান কয়েকটা কার্ড হারিয়ে গেছে। কোথায়, কিভাবে সেসবের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। আরো বেশ কয়েকটা কার্ডও নাকি মিসিং ছিল। 

অমৃতা বলেন, 'আমার সাক্ষর নিয়েও আমাকে কেন ভোট দিতে দেওয়া হলো না, কারা ষ'ড়য'ন্ত্র করে এই কাজ করেছে আমি বুঝতে পারছি না। চার ঘণ্টা চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারিনি, এখানে দৌঁড়েছি, ওখানে গিয়েছি যে যা পরামর্শ দিয়েছে সেটাই করেছি কিন্তু লাভ হয়নি। এটা কষ্টদায়ক বটে।' 

এ প্রসঙ্গে ড্যানি সিডাক বলেন, 'এই হ'য়রা'নির কোনো মানে হয় না। একজন ভোটার এসে ভোট দিতে পারল না। এটা দুঃখজনক। এর দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের।'

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে