বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০১:২৯:৪৮

উ'দ্বা'স্তু শিবিরের সেই অভু'ক্ত কৃষ্ণাঙ্গী তরুণীই আজ বিশ্বসেরা মডেল

উ'দ্বা'স্তু শিবিরের সেই অভু'ক্ত কৃষ্ণাঙ্গী তরুণীই আজ বিশ্বসেরা মডেল

বিনোদন ডেস্ক : গৃ'হযু'দ্ধে ক্ষ'তবিক্ষ'ত সুদান থেকে পালিয়ে আসার পথে উ'দ্বা'স্তু শিবিরে কেটেছে শৈশবের অনেকটাই। তবুও স্বপ্ন দেখতে ভুলতেন না। প্র'চ'ণ্ড খি'দের জ্বা'লায় অ'স্থি'র সুদানের কিশোরী ন্যাকিম গাটওয়েক প্রথমে কেনিয়া, তারপর ইথিয়োপিয়ার উ'দ্বা'স্তু শিবিরে বসে বসে ভাবতেন ''আমেরিকায় অপেক্ষা করে আছে তার স্বপ্নের জীবন।''

সেই স্বপ্নে জীবন পেতে একদিন আমেরিকায় পৌঁছেও গেলেন। তবে আমেরিকায় গিয়ে আরও চু'র'মার হয়ে গেল তার যাবতীয় আশা-ভরসা। কেননা, সেখানে তার ভালভাবে থাকা তো দূর সমাজ তো গ্রহণ করতেই না'রা'জ তাকে। কারণ, তিনি যে ঘো'র কৃ'ষ্ণা'ঙ্গী। শ্বেতাঙ্গ প্রধান দেশে এসে সুদানের কিশোরী ন্যাকিম গাটওয়েক জীবনে প্রথম জানলেন কাকে বলে ব'র্ণবি'দ্বে'ষ। প্রতি মুহূর্তে তার মনে হত, তিনি এই দেশের নন। 

স্কুলে গিয়ে আরও প্র'ক'ট হয় স'ম'স্যা। প্রথমত ইংরেজি বুঝতে বা বলতে না পেরে নিজেকে গু'টিয়ে রাখতেন। ইংরেজি বুঝতে শেখার পরে আরও গভীর হয় ক্ষ'ত। কারণ তাকে শুনতে হয়, বন্ধুরা তাকে গোসল করতে বলছে! তাতে যদি গায়ের ময়লা কিছুটা দূর হয়! এমন ক'টু'ক্তি শুনতে শুনতেই বড় হয়ে উঠা কৃষ্ণা'ঙ্গী তরুণী ন্যাকিম আজ প্রথম সারির মডেল। মডেলিং করেছেন আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ডের জন্য। যে রঙের জন্য বি'দ্রূ'প স'হ্য করতে হত, এখন সেটাই তার তু'রূ'পের তাস।

সামাজিক মাধ্যমে ট্রে'ন্ডিং ন্যাকিমের ছবি। ইনস্টাগ্রামের অনুরাগীর সংখ্যা ২০ হাজার থেকে রা'তারা'তি পৌঁছেছে সাড়ে তিন লাখের কাছাকাছি। ন্যাকিমকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান বিশ্বের নানা প্রান্তের অসংখ্য ভক্ত। মিনেসোটার বাসিন্দা ন্যাকিমকে অনেকেই বলেন, 'অন্ধকারের রানি'। সেটাও তার কাছে প্রশংসা, অ'পমা'ন নয়। তবে এই সাফল্যের মাঝেও ফিরে আসে অতীতের অ'পমা'নের দ'গদ'গে ক্ষ'ত। 

যখন আংশিক সময়ের শিক্ষকতা আর টুকটাক মডেলিং করে জীবিকা নির্বাহ করতে হত। আরও মনে পড়ে, একদিন অ্যাপক্যাব চালক তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্লিচ করানোর! চালককে তিনি পাল্টা বলেছিলেন, তিনি যেমন, তাতেই তিনি খুশি। অথচ অতীতে একদিন ন্যাকিম-ই ভেবেছিলেন ব্লিচ করাবেন। তখন তাকে বুঝিয়েছিলেন তার বোন। বোনের কথায় ব্লিচ করানোর ভাবনা থেকে সরে এসেছিলেন ন্যাকিম।

আজ নিজের জীবন নিয়ে খুশি এই কৃষ্ণাঙ্গী তরুণী। সৃষ্টিকর্তার প্রতিও কোনও অ'ভিযো'গ নেই। একদিন যে সমাজে প্র'ত্যাখ্যা'ত হয়েছিলেন, আজ তারাই সাদরে আপ্যায়ন করেছে তাকে। অতীতে উ'দ্বা'স্তু শিবিরে থাকা মেয়েটি জানতেন না কোথা থেকে আসবে রাতের খাবার। এক তাঁবু থেকে অন্য তাঁবুতে পৌঁছনোর প্রতি মুহূর্তে অপেক্ষা করত অনি'শ্চয়তা। 

আজ, তার সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকে বিশ্বের সেরা ফ্যাশন পত্রিকাগুলি। যশ-খ্যাতি-অর্থ সব পেয়েছেন ন্যাকিম। তবে জানিয়েছেন, তার জীবনের সেরা পুরস্কার হল সেই কিশোরীরা। যারা তাকে দেখে নিজেদের ঘোর কৃষ্ণবর্ণকে ভালবাসতে পেরেছে। অ'প'মান ভুলে নতুন করে বাঁচতে শিখেছে। ন্যাকিমের অন্যরকম লুক এখন ফ্যাশন দুনিয়ায় চাহিদার তুঙ্গে। 

নিজের চেহারা নিয়ে রসি'কতাও করেন এই সুদানিজ সুন্দরী। বলেন, তার ত্বক সূর্যরশ্মি বেশি শো'ষণ করে। আর এক মাথা ঝাঁ'কড়া চুল? তারা নাকি পৃথিবীর মাধ্যাক'র্ষণ শ'ক্তি মানে না। তাই সবসময় উঁচু হয়ে থাকে। নিজেকে ভালবেসে এভাবেই কালো নিয়ে মানুষের মনের কালোকে দূর করে যেতে চান এই অন্ধকারের রানি। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে