বিনোদন ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩ বিশ্বস্ত সৈনিক। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা নিজেরা প্রার্থী ছিলেন না বটে, কিন্তু দলকে জেতাতে ঝাঁপিয়েছিলেন। তাই রবিবার তৃণমূল ২০০ পার করা মাত্রই টুইট করলেন মিমি চক্রবর্তী, যাদবপুরের সাংসদ। লিখলেন ‘অপরাজিত’। খবর জিনিউজের।
দেব, মিমি, নুসরাত- তিনজনেই খুবই খুশি। পরিশ্রমের ফল ফলেছে, স্বাভাবিক ভাবেই একটা তৃপ্তির বোধ কাজ করেছে তিন তারকার মধ্যে। উৎসাহিত মিমি জানিয়েছেন, ‘বাংলা আজ যা করে, ভারত আগামিকাল তা ভাবে’। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়েই মিমির এই উচ্ছ্বাস প্রকাশ।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার প্ল্যানিংয়ে প্রথমদিনেই বড় দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের ৩ তারকা প্রার্থী দেব, মিমি, নুসরাতকে। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘দেব, মিমি, নুসরতকে বেশি করে সময় দিতে হবে’। ৩ জনেই তড়িঘড়ি তাঁদের শুটিংয়ের কাজ সেরে মন দেন প্রচারের কাজে। দেব জানাচ্ছিলেন, ‘২০১৯-এর লোকসভা ভোটের সময়ে এত জনসমাগম দেখিনি, যা এবারের বিধানসভায় দেখেছি। প্রচার চলাকালীন কোভিডের প্রকোপ বাড়ায় প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে মানুষকে মাস্ক পড়তে বলেছি। এমনকি এটাও বলেছি যে, বাড়ি থেকে বেরোবেন না। যাকে খুশি ভোট দিন। আমাদের দলের এই অ্যাপ্রোচ মানুষের পছন্দ হয়েছে, তাঁরা বুঝেছেন আমরা তাঁদের পাশে আছি’।
নুসরাত সকালের দিকে ট্রেন্ড আসতে শুরু করা মাত্রই টুইটে লেখেন, ‘খেলা হয়েছে, জেতা হচ্ছে’। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা স্পষ্ট হওয়া মাত্রই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লেখেন টিএমসি করবে ২০০ পার। নির্বাচনের প্রচারে অশোকনগরে গিয়ে বিতর্কে জড়ান নুসরত। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও এত করি না’। তাই নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। রবিবার ফলপ্রকাশের পর সেসব আর মনে রাখতে চান না বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। আজ যে আনন্দের দিন।
টলিউডের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, ৩ তারকার সম্পর্ক নাকি ততটা ভাল নয়। কয়েক বছর আগে, দেবের একটি ছবি থেকে শেষমুহূর্তে বেরিয়ে যান মিমি। আরও শোনা যায়, মিমির সেই হঠাৎ-সিদ্ধান্তের পিছনে নাকি নুসরতের ভূমিকা ছিল। সেই ঘটনার পর থেকে আর কখনওই ৩ তারকাকে একসঙ্গে সুরে বাজতে দেখা যায় নি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রচারে ৩ তারকার পরিশ্রম এবং সব স্পেকুলেশন উড়িয়ে বিরাট ব্যবধানে তৃণমূলের জয় কি আবার পুরনো বন্ধুত্বে ফেরাবে দেব-মিমি-নুসরাতকে?