একসময়ের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী উম্মে হাবিবা এ্যানী খান পুরোপুরি বদলে গেছেন। এখন নামাজ রোজা আর ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে সময় কাটান। আর পাশাপাশি অনলাইনে বোরকা, হিজাব ও থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন আর আছে একটি ইউটিউব চ্যানেল।
আর নিজের নামে খোলা ইউটিউব চ্যানেল থেকে যা আয় হবে পুরো অর্থ ব্যয় করবেন দ্বীনির পথে। অবশ্য প্রথমবার ইউটিউব থেকে আয়ের টাকায় একটি ছাগল কিনে জবাই করে মানুষকে খাওয়ানের ইচ্ছা তার। এরই মধ্যে তার ইউটিউব চ্যানেলে ২০ হাজার সাবস্ক্রাইব হয়েছে। ১০৫ ডলার আয় দেখাচ্ছে। যদিও সেই অর্থ এখনো তিনি তুলতে পারেননি ইউটিউবের কিছু নিয়ম-কানুন পূর্ণ না হওয়ায়।
এক সময়ের ছোট পর্দার ব্যাপক জনপ্রিয় এই অভিনয়শিল্পী বলেন, ২০২০ সালের মার্চে অভিনয় জগত ছাড়ার পর আমি পর্দা করা শুরু করেছি। এখন আমি বোরকা পরি, হিজাব পরি। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। গত এক বছরে আমার এক ওয়াক্ত নামাজও কাজা হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ।
বাংলাদেশে সাধারণ মুসলমানরা ইসলামের অনুসরণ করতে গিয়ে তিন ধরনের পদ্ধতির যেকোনো একটি মেনে চলেন। যেমন ধর্মীয় রাজনৈতিক দর্শন, পীর-মাজার কেন্দ্রিক বা তাবলীগ জামাতের অনুসারী।
এ্যানী খান এর কোনটির দ্বারা প্রভাবিত- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসলামে নারীদের রাজনীতি নিয়ে বেশি ভাবার প্রয়োজন নেই। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, রোজা রাখা, মানুষের গিবত (সমালোচনা) না করা আর পর্দা মেনে চলা। এই কাজগুলো করলেই মেয়েদের জান্নাতে যাওয়া সহজ। এজন্য তাবলীগে গিয়ে ঘোরাঘুরি বা মাজারে গিয়ে কপাল ঠেকানোর কোনো দরকার নেই।
এ্যানী খান মনে করেন, ছেলেদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা উচিত। এক্ষেত্রে কোনো অজুহাত দেখানো ঠিক নয়। কারণ দুই মিনিট বেঁচে থাকার কোনো গ্যারান্টি নেই কারো। সুরতাং নামাজ কাজা করা কোনোভাবেই ঠিক নয়।