বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে মাদক মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ সিদ্ধান্ত একা নেওয়ার কেউ নন তিনি। পরীমনির বিষয়ে সিদ্ধান্তটি কমিটির ২১ জন সদস্য মিলে নিয়েছেন। যাদের মধ্যে আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানার মতো চলচ্চিত্রের জ্যেষ্ঠ শিল্পীরা রয়েছেন।’
এদিকে ইলিয়াস কাঞ্চনের ভাষ্য, পরীমনির সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তার সঙ্গে কথা বলা হলে্ও তার মতকে গুরুত্ব দেয়নি সমিতি।
মঙ্গলবার দুপুরে এক গণমাধ্যমকে ‘বেদের বেয়ে জোসনা খ্যাত’ এ অভিনেতা বলেন, ‘ওদের জিজ্ঞেস করেন, ইলিয়াস কাঞ্চন কী বলেছিল? আমি কিন্তু সদস্যপদ স্থগিতের ব্যাপারটি নিষেধ করেছিলাম। হ্যাঁ, তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তখন আমি বলেছিলাম, একজন শিল্পীর নামে মাত্র অভিযোগ এসেছে। কোনো কিছুই প্রমাণিত হয়নি।
অভিযোগ যখন প্রমাণিত হয়নি, কী কারণে তোমরা সদস্যপদ স্থগিত করবে?তখন তারা আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে, আমরা তো স্থায়ীভাবে করছি না। সাময়িকভাবে করছি। এর জবাবে আমি বলেছিলাম, এমন স্থগিত করার কি দরকার! স্থগিত করাটা ঠিক হবে না। সংবিধান অনুযায়ী এটা করাটা ঠিক হবে না। নিয়মানুযায়ী একজন শিল্পীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তাকে নোটিশ করা যেতে পারে। সত'র্ক করা যেতে পারে। কিন্তু সদস্যপদ স্থগিত করা মোটেও ঠিক হবে না।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, স্থগিতের বিষয়ে আমার মতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমাকে ওরা বলেছিল, অন্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে। এখন অন্যরা কী বলছে, তা তো আমি বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকেও একই মত দিয়েছেন বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনের আগে মিশা সওদাগর আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে। আমি তখন তাকে বলেছি, সদস্যপদ স্থগিতের ব্যাপারটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।’
।