রবিবার, ২২ মে, ২০২২, ০৩:৩৬:১৩

বলিউড বনাম দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি, কে এগিয়ে? মুখ খুললেন অক্ষয়

বলিউড বনাম দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি, কে এগিয়ে? মুখ খুললেন অক্ষয়

বিনোদন ডেস্ক: বিভাজন নয়, ঐক্যের কথা বললেন অক্ষয়। তিনি যদিও একা নন। দিন কয়েক আগে তাঁর সুরে কথা বলেছিলেন অভিনেতা রণবীর সিং। হালেফিলে মুক্তি পাওয়া দক্ষিণী ছবিগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। 

জানিয়েছিলেন, তিনি তেলুগু না বলতে পারলেও সেই ভাষায় তৈরি ছবিগুলি দেখে মুগ্ধ। তিনি বলেছিলেন, “আমার গর্ব হয় কারণ এই ছবিগুলিকে আমি কখনও আলাদা বলে ভাবিনি। ওঁরা সবাই আমাদের আপন। ভারতীয় সিনেমা এক।”

মূলত বলিউডে কাজ করলেও দুই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে এই বিভাজন মোটেই ভালো লাগছে না অভিনেতার। অক্ষয় জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে বহুল প্রচলিত ‘প্যান ইন্ডিয়া’ শব্দটির অর্থ তাঁর এখনও বোধগম্য হয়নি। তিনি চান, সব ছবিই সাফল্যের মুখ দর্শন করে।

বলিউড বনাম দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি তরজা এখনও জারি। সাফল্যের দৌড়ে কে এগিয়ে, তা নিয়ে নানা জনের নানা মত। এ বার এ বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার।

মূলত বলিউডে কাজ করলেও দুই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে এই বিভাজন মোটেই ভালো লাগছে না অভিনেতার। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানিয়েছেন তিনি। অভিনেতার কথায়, “এই ভাগাভাগি আমার ভালো লাগছে না।

কেউ যখন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বা উত্তরের ইন্ডাস্ট্রি বলে, আমার খুব খারাপ লাগে। আমার মনে হয় আমরা একটাই ইন্ডাস্ট্রি। আমাদের বুঝতে হবে এ ভাবেই ব্রিটিশরা এসে আমাদের ভাগ করে দিয়ে গিয়েছিল। 

কিন্তু, আমরা তা থেকে শিক্ষা নিইনি। আমরা এখনও বুঝতে পারছি না। যে দিন বুঝতে শিখব যে আমরা সকলে একই ইন্ডাস্ট্রির অংশ, সে দিন অনেক ভালো কাজ করতে পারব।”

অক্ষয় জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে বহুল প্রচলিত ‘প্যান ইন্ডিয়া’ শব্দটির অর্থ তাঁর এখনও বোধগম্য হয়নি। তিনি চান, সব ছবিই সাফল্যের মুখ দর্শন করে।

‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’, ‘আরআরআর’, ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’-র মতো দক্ষিণী ছবিগুলির ভাঁড়ার ফুলেফেঁপে উঠেছে বক্স অফিসে। কোনও হিন্দি ছবি কাছে ঘেষতে পারেনি ব্যবসার নিরিখে। এর পরেই অজয় দেবগণ এবং সুদীপ কিচ্চার টুইট যুদ্ধ জন্ম দেয় ভাষা-বিতর্কের।

দুই তারকার মধ্যে শুরু হওয়া বিতণ্ডা থেকে বাড়তে থাকে দুই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে দূরত্ব। ‘কেজিএফ ২’ প্রসঙ্গে সুদীপ টুইটারে লেখেন, ‘হিন্দি আর রাষ্ট্রীয় ভাষা নয়। বলিউডের বলা উচিত তারা সর্বভারতীয় ছবি করছে। 

যেহেতু অন্যান্য ভাষায়ও সেই ছবি ডাব করা হয়।’ সুদীপের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছিলেন অজয়। জানতে চেয়েছিলেন, হিন্দি রাষ্ট্রীয় ভাষা না হয়ে থাকলে কেন অন্য ভাষার ছবিগুলি হিন্দিতে ডাব করা হয়। এই তর্কই গড়ায় অনেক দূর। দুই ইন্ডাস্ট্রির তারকারাই এই বিতর্ককে ঘিরে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন।

অক্ষয় যদিও একা নন। দিন কয়েক আগে তাঁর সুরে কথা বলেছিলেন অভিনেতা রণবীর সিং। হালেফিলে মুক্তি পাওয়া দক্ষিণী ছবিগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। 

জানিয়েছিলেন, তিনি তেলুগু না বলতে পারলেও সেই ভাষায় তৈরি ছবিগুলি দেখে মুগ্ধ। তিনি বলেছিলেন, “আমি খুবই গর্বিত যে বিভিন্ন ধরনের দর্শক ওদের ছবিকে গ্রহণ করছেন। আমার গর্ব হয় কারণ এই ছবিগুলিকে আমি কখনও আলাদা বলে ভাবিনি। ওঁরা সবাই আমাদের আপন। ভারতীয় সিনেমা এক।”

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে