মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২, ১২:৪৩:২৮

'ওমর সানী-মৌসুমীকে ইস্যুতে মিজান-জামালকে সতর্ক করা হয়েছে'

'ওমর সানী-মৌসুমীকে ইস্যুতে মিজান-জামালকে সতর্ক করা হয়েছে'

বিনোদন ডেস্ক: ওমর সানী ও জায়েদ খান ঝগড়া নিয়ে মৌসুমী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জায়েদ তাকে ডিস্টার্ব তো নয়ই, উল্টো সম্মান করেন। আর তিনিও জায়েদকে স্নেহ করেন। একই সাথে মৌসুমী জানান জায়েদের মন-মানসিকতা ভালো এবং সে ভালো ছেলে।

তবে মৌসুমীর এই বক্তব্যকে কার্যত নাকচ করে দিয়ে ওমর সানী ফেসবুক লাইভে এসে তার বক্তব্যে অটল থাকার কথা জানান। গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল হয়তো নেতিবাচক কিছু ঘটতে যাচ্ছে। সেসবকে ভুল প্রমাণ করে মৌসুমী-ওমর সানী এক টেবিলে বসেন। রাতের খাবার খান। 

তবে এসবের মধ্যে চলচ্চিত্রের কিছু ব্যক্তি মৌসুমী-ওমর সানীর সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি ওমর সানীর ফেসবুক পোস্টে প্রকাশ্য হয়। ওমর সানী রীতিমতো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

সানী লিখেছেন, 'শিল্পী সমিতির বর্তমান প্রেসিডেন্ট শ্রদ্ধেয় কাঞ্চন ভাইসহ ফুল ক্যাবিনেটের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, শিল্পী সমিতির মেম্বার দাবি করা মিজান এবং জামাল পাটোয়ারী, যেসব কথা বলে আপনাদের কানে যায় না, নাকি আমরা কানে শুনি না দেখি না, বাকিটা শ্রদ্ধা রাখতে চাই সুযোগ দেন।'

মিজান কী বলেন? বিভিন্ন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম ঘেঁটে দেখা গেছে মিজানের বহুমাত্রিক বক্তব্য। প্রায় ভিডিওতে জায়েদ, মৌসুমী, ওমর সানী প্রসঙ্গ। একটি ভিডিওতে মিজান অভিনেত্রী মৌসুমীর রীতিমতো সমালোচনা করছেন।

তিনি বলছেন, 'স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ, কিন্তু সে বন্ধন তো সে (মৌসুমী) রাখে না। তার স্বামী একটা কথা বলছে, সে জানত, গুরুত্ব দিত, তারপর না মানুষ ভালো বলতে পারত। মৌসুমী-ওমর সানীর দীর্ঘ ২৭ বছরের সংসারের অবসান ঘটত। তারা এ সময় আল্লাহবিল্লাহ করবে, তারা নোংরামি কেন করবে? পপির পরিণতিটা দেখছেন না জায়েদ খান কী করেছে?'

মিজান আরেকটি ভিডিওতে বলছেন, 'মৌসুমীর মা হওয়ার সম্ভাবনা তো চলছে। সে যদি গাধা হয়ে থাকে, গরু হয়ে থাকে তাহলে মৌসুমীর সংসার সে করতে পারবে।' কয়েক মাস ধরেই মিজান ও জামাল পাটোয়ারী চলচ্চিত্রশিল্পীদের নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন। 

এর মধ্যে ওমর সানীর নামও আছে। এ কারণেই দুজনের নামে এমন অভিযোগ এনেছেন ওমর সানী। মিজান ও জামাল পাটোয়ারী দুজনই শিল্পী সমিতি থেকে বাদ পড়া ১৮৪ জনের মধ্যে ছিলেন। যারা বর্তমান কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পর সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন।

জায়েদ খান সম্পর্কে একটি ভিডিওতে বলেন, 'জায়েদ খান একজন পাকাপোক্ত খেলোয়াড়। কোন ধরনের ডিস্টার্ব আমরা সে গল্পে ঢুকতে পারি নাই। আমার মনে হয় মৌসুমীকে জায়েদ খান খারাপ উদ্দেশ্যেই ডিস্টার্ব করেছে। জায়েদ খানকে শিল্পী সমিতি থেকে বাদ দেওয়া দরকার। স্থায়ীভাবে থাকে বহিষ্কার করা দরকার। এর আগেও সে নায়িকাদের অত্যাচার করেছে।' 

এর আগে জামাল পাটোয়ারী আরেকটি ভিডিওতে বলেছিলেন, 'মৌসুমী-ওমর সানী জাতীয় বেইমান।' ভিডিওটিতে জায়েদ খান ও মৌসুমীকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন তিনি। তবে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন শুধুই জামাল পাটোয়ারী কিংবা মিজানের দোষ দেখছেন না। 

কারা তাদের উসকানি দিয়ে ক্যামেরার সামনে এসব বক্তব্য বের করছেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে বলে মনে করেন। মিজান ও জামাল পাটোয়ারীর বিষয়ে শিল্পী সমিতি ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক জানান, ওমর সানী-মৌসুমীকে ইস্যুতে জামাল ও মিজানদের সতর্ক করা হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে