বিনোদন ডেস্ক: রিলিজের পর বুধবার সকাল থেকে পাঠান নিয়ে ভক্তদের হইচই চলছে। তবে তার মধ্যেও পিছু ছাড়ল না বিতর্ক। ভারতের কর্নাটকে সিনেমাহলে হামলা চালাল হিন্দু সংগঠনের একদল কর্মী। সিনেমার একটি শো চলাকালীন আচমকাই চড়াও হয় তারা।
বেলাগাভি অঞ্চলে স্বরূপা এবং নর্থকী সিনেমাহল দু'টির বাইরে জড়ো হয় সংগঠনের কর্মীরা। ছেড়া হয় সিনেমার পোস্টার। অবিলম্বে সিনেমাহল থেকে শো বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে।
৩০ জন হিন্দু মহাসভার কর্মীকে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মুক্তির আগেই পাঠানের ১২টি দৃশ্যে কাঁচি চালানো হয়েছে সেন্সর বোর্ডের নির্দেশে। এই নিয়ে সন্তুষ্ট বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের সিদ্ধান্ত, আপাতত তারা আর পাঠান বয়কটের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে না।
তবে সেই নির্দেশ মানতে নারাজ অন্যান্য হিন্দু সংগঠনগুলি। ফলে কর্নাটকে পাঠানের শো বাতিলের দাবিতে সকাল থেকেই একাধিক প্রেক্ষাগৃহের বাইরে অশান্তি ছড়ায়। বেলাগাভির স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক যদিও গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
সিনেমাহলগুলির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে অশান্তি চরম আকার ধারণ করে। একাধিক হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে সিনেমাহলের বাইরে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান ওঠে। 'দেশ কে গদ্দারও কো গোলি মারো...' ধ্বনিও শোনা যায় প্রেক্ষাগৃহের বাইরে।
এমনকী মধ্যপ্রদেশে সিনেমাহলের বাইরে 'হনুমান চালিশা'ও পাঠ করতে দেখা যায় প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে। এদিন আগ্রা, বিহার, উত্তরপ্রদেশে হলগুলির বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। পোস্টার জ্বালানো, কালি ছেটানোর ঘটনাও ঘটে।