রবিবার, ০৩ মে, ২০২০, ০৮:৪২:৩৮

মেঘনায় জেলের জালে ১০ মণ ওজনের বিরল প্রজাতির ‘শাপলা পাতা’ মাছ

মেঘনায় জেলের জালে ১০ মণ ওজনের বিরল প্রজাতির ‘শাপলা পাতা’ মাছ

চাঁদপুর: শনিবার বিকালে চাঁদপুর বড়ষ্টেশন মাছঘাটে গেলে এ মাছটি দেখা যায়।শহরের বড়স্টেশন মাদ্রাসারোড এলাকার জেলে মোঃ আবুল বাশারের জালে নদীতে মাছটি ধ'রা পড়ে।তিনি জানান,পদ্মা-মেঘনা নদীর লক্ষিরচড়ে দুপুরে মাছটি আ'টকা পড়ে। পরে আমরা ৮ জন জেলে মিলে আ'টকা পড়া মাছটি টে'নে নদীর পাড়ে এ'নেছি। সেখান থেকেই পরবর্তীতে ট্রলারযোগে মাছটি ঘা'টে এনেছি বিক্রির উদ্দেশ্যে।

তিনি আরো জানান, বিশাল আকৃতির এই শাপলা মাছটি আমি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। চাঁদপুর লকডাউন না হলে হয়তো এই মাছটি ১ লক্ষ টাকা মূল্যে বিক্রি করতে পারতাম। তবে এখন যেহেতু বাজার মন্দা। তাই মাছটি ম'রে যাওয়ার আগে যা বিক্রি করলাম এটাই লাভ!

স্থানীয় জেলেরা বলেন, এই বৃত্তাকার বিশাল আকৃতির মাছটিতে রয়েছে লম্বা ও শক্ত লেজ। গায়ের রং কালছে। বিকেলে মাছটি মাছঘাটে তো'লা হলে দেখতে শত শত লোক ভি'ড় করে। একে অনেকে ‘হাউস’ মাছ বলে জানালেও এটি মূলত ‘শাপলা পাতা’ মাছ।

এ ব্যাপারে আড়তদার মোঃ কালাম গাজী জানান, এ মাছগুলো বিরল প্রজাতির। এরা সাধারণত নদী ও সাগরের মি'লনস্থলে থাকে। বড় বড় নদীতেও কয়েক প্রজাতির এমন মাছ রয়েছে তবে তা খুবই কম।তিনি আরো জানান, এই মাছটির বয়স আনুমানিক ৬/৭ বছর। আমরা এটি ১’শ ৩০ টাকা করে প্রতি কেজি বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। তবে হাক-ডাকের আগেই একজন এসে এটি ৪০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন। এটি পাইকাররা আড়াই’শ থেকে ৩’শ টাকা বা তার বেশি দামে কেজি প্রতি কে'টে কে'টে বিক্রি করবে। এ মাছটি ক্রয় করেন ঘাটের মুনছুর আহমেদ বন্দুকশি নামে এক মাছ ব্যবসায়ী।

তিনি জানান,লক ডাউন না হলে মাছটির দাম আরো বেশি পড়তো। তবে যাই হউক-নগদ ৪০ হাজার টাকা দামে মাছটি কিনেছি। এখন এটি নারায়নগঞ্জের আড়তদার রিপনের নিকট পিকআপ ভ্যানে করে পাঠিয়ে দিলাম।

এ ব্যপারে চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী মৎস কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ জানান, এ মাছগুলো নদী ও সাগরের স'ঙ্গমস্থলে থাকে। তবে এ দেশের বড় নদীগুলোতেও এদের ১২ থেকে ১৩টি প্রজাতি রয়েছে। স্থানীয়ভাবে একে শাপলা পাতা, শাকুশ, হাউস পাতা মাছও বলে থাকে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে