বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:১৪:৫১

সিক্রেট গ্রুপে চ্যাটিং : 'আবরার ম'রে যাচ্ছে; মা'ইর বেশি হয়ে গেছে'!

সিক্রেট গ্রুপে চ্যাটিং : 'আবরার ম'রে যাচ্ছে; মা'ইর বেশি হয়ে গেছে'!

নিউজ ডেস্ক : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ'ত্যার ঘটনায় চমকে উঠেছে জাতির বিবেক। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যায় উচ্চশিক্ষার জন্য, সেটা এখন পরিণত হয়েছে খু'নীদের অভয়ারণ্যে। সবচেয়ে ভ'য়ংকর ব্যাপার হলো, এসব অ'পরাধের কোনো বিচার না হওয়া। আবরার হ'ত্যার পর আবারও বিচারহীনতা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকাশিত হয়েছে খু'নিদের লোম'হর্ষ'ক পরিকল্পনার কথা।

আবরারকে নি'র্যাতনের পরিকল্পনা ঘটনার আগেই হয়েছিল। এটা রা'গের মাথায় ঘটানো তাৎক্ষণিক কোনো দু'র্ঘটনা নয়, রীতিমতো ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পনা। মিডিয়ার হাতে চলে এসেছে বুয়েট ছাত্রলীগের সদস্যদের সিক্রেট গ্রুপের কথোপকথন। ঘটনার একদিন আগেই ফেসবুকের সিক্রেট গ্রুপে আবরারকে নি'র্যাত'নের নির্দেশ দেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রনি।

৫ অক্টোবর শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় সিক্সটিন ব্যাচকে ম্যানশন করে রনি লিখেন, '১৭ আবরার ফাহাদ। মে'রে হল থেকে বের করে দিবি দ্রুত। দুই দিন টাইম দিলাম।'
পরদিন রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে মনিরুজ্জামান মনির সিক্রেট গ্রুপে লিখেন, 'নিচে নাম সবাই'।

ওইদিন রাত ৮টা ১‌৩ মিনিটে আবরারকে নিজ কক্ষ থেকে ডেকে হলের করিডোর দিয়ে দোতলার সিঁড়ির দিকে নিয়ে যান সাদাত, তানিম, বিল্লাহ সহ কয়েকজন। এরপর রাত ১টা ২৬ মিনিটে ইফতি মোশাররফ সকাল মেসেঞ্জারে লিখেন, 'ম'রে যাচ্ছে! মাইর বেশি হয়ে গেছে।'

তারপরের ঘটনা সবার জানা। আবারের নিথর দে'হ পড়ে ছিল সিঁড়ির কাছে। হলের ডাক্তারই তাকে মৃ'ত ঘোষণা করেন। স্রেফ সাধারণ একটা ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে একজন বুয়েট শিক্ষার্থীকে প্রা'ণে মে'রে ফেলা হতে পারে, এটা ভাবতে পারছেন না কেউ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে