এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রফেসর নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এফসিএমএ। এদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মানুষ যিনি বিসিএস-এ দুইবার প্রথম হয়েছেন। আর তাইতো তার গল্প এখন মানুষের মুখে মুখে। প্রেরণার উৎস হিসাবে অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই মেধাবী মানুষটি।
প্রফেসর নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার বিসিএস পরীক্ষার ভাইবার গল্পটি অনেকেরই হয়তো অজানা। তাই সেই গল্পটিই পাঠকদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে সংগ্রহ করে নিচে তুলে ধরা হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করেছে বেরিয়েছে ছেলেটি। পাশ করেই অংশ নিলেন বিসিএস পরীক্ষায়। নিজের পরিশ্রম আর একাগ্রতার ফল হিসেবে প্রথম হলেন (১০ম) বিসিএস পরীক্ষায়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে প্রথম হয়েও সেই চাকরিতে যোগদান করলেন না ছেলেটি।
বদলাতে থাকলো দিন পঞ্জিকার পাতা। পরবর্তীতে ১২তম বিসিএস পরীক্ষা চলে এলো এবং তিনি আবারও বিসিএস ভাইভাতে উপস্থিত! ভাইভা বোর্ডের উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে দেখল এই ছেলে ১০ম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম মেধাস্থানে ছিল!
বোর্ড কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করলেন, “জনাব, নাজিম উদ্দিন, আপনি কেন আগেরবার প্রথম হয়েও সিভিল সার্ভিসে যোগদান করলেন না?” উত্তরে নাজিম উদ্দিন জানালেন, ‘আগেরবার বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন, তাই আর সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন নি।
তারপর, বোর্ড কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করলেন, “এবার কেন আপনি আবার বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন?” উত্তরে নাজিম উদ্দিন যা জানালেন তাতে বোর্ড কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ!
নাজিম উদ্দিনের সরল উত্তর, “আসলে আমি একটু যাচাই করে দেখলাম, আমার সেই মেধা আর প্রস্তুতি ঠিক আছে কিনা!” তিনি দ্বিতীয় বারেও বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু যোগদান করেননি, পেশা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকেই বেছে নেন। হয়তো তিনি শিক্ষকতার মাঝেই নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে চেয়েছেন। হারিয়ে যেতে চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে। খুঁজে পেতে চেয়েছেন মানসিক প্রশান্তি।