শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৬:৪৬:২৫

'আমি আর বাঁচতে চাই না, মরতে চাই' কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে আর্জি প্রতিবন্ধী শিশুর

'আমি আর বাঁচতে চাই না, মরতে চাই' কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে আর্জি প্রতিবন্ধী শিশুর

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বয়স মাত্র আট বছর। যে বয়সের প্রাণোচ্ছ্বলতাই একমাত্র মাপকাঠি, সেই তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার শিশুর নাম যোগ করা অসম্ভব। কারণ, এই বয়সেই জীবন থেকে মুখ ফিরিয়েছে। মৃ'ত্যুই তাকে স্বস্তি দিতে পারে বলে মনে করছে সে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভিডিও এখস ভাই'রাল।

অঝোরে কান্নার মাঝে তার শুধু একটাই দাবি, 'আমাকে একটা দড়ি দাও। আমি নিজেকে মেরে ফেলতে চাই, আর বাঁচতে চাই না।' শিশুর কান্নার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তার মা। সিংহভাগ জায়গা দখল করে নিয়েছে তা। মন ছুঁয়ে গিয়েছে প্রায় সকলের। তার কান্না দেখেই চোখের কোণ ভিজছে নেটিজেনদের। কিন্তু প্রশ্ন একটাই কেন এমন হাপুস নয়নে কেঁদে চলেছে বছর নয়েকের ওই শিশু? 

পরিবার সূত্রে খবর, অস্ট্রেলিয়ার ওই শিশুর জন্ম থেকেই শারীরিক সম'স্যা রয়েছে। বয়সের তুলনায় তার উচ্চতায় অনেকটাই কম। বামন বলেই সে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অ'ভ্য'স্ত হতে পারে না। ওই শিশুটি অস্ট্রেলিয়ার এক স্কুলেই পড়ে। তার মায়ের অভিযোগ, স্কুলে তার সঙ্গে দু'র্ব্য'বহার করে সহপাঠীরা। কখনও তাকে মা'রধ'র করা হয়। আবার কখনও বি'দ্রু'প মিশ্রিত নানা নামে ডাকা হয়। 

দিনের পর দিন তা সহ্য করতে পারে না ওই স্কুলপড়ুয়া। একদিন ছুটির সময় স্কুল থেকে সন্তানকে নিতে গিয়ে অমা'নবিক ঘটনার সাক্ষী হতে হয় ওই শিশুর মাকে। তিনি দেখেন, এক সহপাঠী প্রথমে তার সন্তানকে মাথায় চাঁটি মা'রে। তারপর মশ'করা করে তার দেওয়া নানা নামে ডাকতে শুরু করে। তা শুনে অঝোরে কাঁদতে শুরু করে তার সন্তান। তবে সহপাঠীকে কাদতে দেখেও কোনও ভ্রূ'ক্ষে'প নেই ম'শক'রা করতে থাকা স্কুলপড়ুয়ার। সে দিব্যি হাসতে হাসতে চলে যায়।

এরপর য'ন্ত্র'ণা চেপে নিজের ছেলেকে গাড়িতে তুলে নেন ওই মহিলা। ছেলে তখনও কেঁদেই চলেছে। গাড়িতে বসেও মুখে তার একটাই কথা, 'আমাকে একটা দড়ি দাও। আমি নিজেকে মেরে ফেলতে চাই।' মানসিকভাবে বি'ধ্ব'স্ত ছেলেকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি ওই মহিলা। তিনিও অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন। ছেলের কান্নার ভিডিও করেন তিনি। 

প্রতিদিন একটু একটু করে ছেলের ভেঙে পড়ার কাহিনি ভিডিওর মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরেন তিনি। কারও চেহারাগত ত্রুটি নিয়ে ম'শকরা করা যে কতটা ভয়ং'কর, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন ওই মহিলা। উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে স্কুলপড়ুয়াদের মশ'করা করার প্রব'ণতায় রাশ টানা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। মহিলার শেয়ার করা এই ভিডিও বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। আট বছরের ওই শিশুর পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রায় সকলেই। মানসিক নির্যা'তন অবিলম্বে ব'ন্ধ হওয়া উচিত বলেই জানান তিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে