রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০, ০৮:১৩:৪৮

করোনার মূল উপসর্গ নিয়ে গোড়াতেই বড় ভুল হয়ে গেছে: দাবি বিশেষজ্ঞদের

করোনার মূল উপসর্গ নিয়ে গোড়াতেই বড় ভুল হয়ে গেছে: দাবি বিশেষজ্ঞদের

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মহামা'রী করোনাভাইরাস যখন ভারতেপ্রথম থা'বা বসাচ্ছিল, তখন বহু সংখ্যক করোনা রোগীকে চি'হ্নি'তই করা যায়নি। এমন চাঞ্চল্যকর ত'থ্য দিলেন দেশটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বহু করোনা রোগীকে প্রথমে চিহ্নি'তই করা যায়নি। কিন্তু কেন! বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রথমে ধ'রেই নেওয়া হয়েছিল করোনা মানেই রোগীর শরীরে প্রথম উপস'র্গ হবে জ্বর। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তা নয়, বহু করোনা রোগীর ক্ষেত্রেই জ্বরের উপসর্গ ছিলই না।

আইসিএমআর এর গবেষণা শাখা ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিকেল রিসার্চ সম্প্রতি একটি সমী'ক্ষা প্রকাশ করেছে। ‘Clinico-demographic profile & hospital outcomes of Covid-19 patients admitted at a tertiary care centre in north India’ শীর্ষক এই সমীক্ষাটি ২৩ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল টা'না চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির এইমস হাসপাতালে। বে'ছে নেওয়া হয়েছিল মোট ১৪৪ জন করোনা রোগীকে। সমী'ক্ষার পরিসংখ্যান বিচার করে দেখা যায় মাত্র ১৭ শতাংশ করোনা রোগীর প্রধান উপসর্গ ছিল জ্বর।

চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়ার নেতৃত্বে হওয়া ওই গবষণায় দেখা যায়, ভারতের করোনা রোগীদের প্রধান উপসর্গের সঙ্গে অন্যান্য দেশের করোনা রোগীদের উপসর্গের ফা'রাক রয়েছে। চীনের দিকে তা'কালে দেখা যাবে করোনা আক্রা'ন্তদের মধ্যে ৪৪ শতাংশের শরীরেই জ্বর ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর জ্বর দেখা দেয় ৮৮ শতাংশের শরীরেই। কিন্তু এইমস-এ ভর্তি হওয়া মোট করোনা রোগীদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ রোগীর শরীরে জ্বর ছিল। ৪৪ শতাংশ রোগী ছিলেন উপসর্গহী'ন।

এই উপসর্গহী'নতার পরিসং'খ্যান একদিকে যেমন আশাপ্রদ, অন্যদিকে ততটাই ভ'য়ের। মনে করা হচ্ছে, অনেকে শরীরে প্রতিরো'ধ ক্ষমতা গড়ে তু'লেছে নিজে থেকে, অন্যদিকে এই উপসর্গহী'ন রোগীরাই বহুক্ষেত্রে নিঃশব্দে অজা'ন্তে সং'ক্র'মণ ছ'ড়িয়ে দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। মার্চ-এপ্রিলে এভাবেই সং'ক্র'মিত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ, ধারণা বিজ্ঞানীদের।

এই ১৪৪ জন রোগীর মধ্যে ৯৩.১ শতাংশ ছিলেন পুরুষ। এদের মধ্যে ১০ শতাংশ ছিলেন বিদেশি পর্যটক। ২৩ জন কোমর্বিডিটিতে আ'ক্রা'ন্ত হন। যাদের শরীরে উপসর্গ ছিল তাদের মধ্যে একটা বেশি অংশই সর্দি-কাশিতে ভু'গছিলেন। জ্বর প্রায় ছিল না বললেই চলে। এদের ওপর হা'ইড্রো'ক্সিক্লো'রোকুইন ও অ্যা'জিথ্রো'মাইসিন প্রয়ো'গ করেন চিকিৎসকরা।

‌রণদীপ গুলেরিয়া বলছেন, ‌"আসলে প্রতিটা দিনই একটা করে শিক্ষার দিন। করোনা আমাদের চিন্তার থেকেও বেশি পরিকল্পিত আ'ক্র'মণ চা'লায়। এমনও হয়েছে কারও স্ট্রো'ক হয়েছে বা হা'র্ট অ্যা'টাক। কিন্তু পরে ধ'রা পড়েছে তিনি করোনা আক্রা'ন্ত। এমনও হয়েছে কনজেনটিভাইটিসে আক্রা'ন্ত রোগীর শরীরে করোনা লু'কিয়ে ছিল।" সূত্র: নিউজ১৮

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে