রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:৪৩:২৪

শুক্রবার এলেই নববধূ হন চার সন্তানের জননী, নেপথ্যে করুণ কাহিনি!

 শুক্রবার এলেই নববধূ হন চার সন্তানের জননী, নেপথ্যে করুণ কাহিনি!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শুক্রবার এলেই তিনি নববধূ হন। সপ্তাহের ওই এক দিনই। পাকিস্তানের চার সন্তানের জননীর এই অদ্ভুত শখে হতবাক পড়শিরাও। প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু শখ থাকে। কেউ সাজতে ভালবাসেন, কেউ গাইতে, কেউ গল্প করতে। কিন্তু প্রতি শুক্রবার নববধূ হওয়ার এমন শখ হয়তো শোনা গিয়েছে বলে মনে হয় না।

হীরা জিশান, বয়স বিয়াল্লিশ। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এই মহিলা প্রতি শুক্রবার নববধূর বেশে সাজেন। পড়শিরাও তার এই আজব শখ নিয়ে নানা রকম আলোচনাও করেন। কিন্তু কেন এই অদ্ভুত শখ হীরার? এর পিছনে এক করুণ কাহিনিও আছে। আজ থেকে ১৬ বছর আগে হীরার মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেয়েকে নিয়ে তার চিন্তার অন্ত ছিল না। 

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। হীরার মায়ের প্রবল ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর আগে মেয়েকে নববধূর বেশে দেখে যাবেন। হাসপাতালেরই এক কর্মী হীরার মাকে রক্ত দিয়েছিলেন। মায়ের ইচ্ছা মতো সেই কর্মীকেই বিয়ে করেন হীরা। তিনি বলেন, “হাসপাতালে খুব সাধারণ সাজেই বিয়ে হয়েছিল। এবং এক কাপড়েই। আর চার-পাঁচটা বিয়ের মতো ধুমধাম করে নয়।” 

বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই হীরার মায়ের মৃত্যু হয়। মাকে হারিয়ে একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন হীরা। এখানেই শেষ নয়। তার জন্য আরও চরম পরিস্থিতি যেন অপেক্ষা করছিল। পরবর্তী কয়েক বছরে ছয় সন্তানের মধ্যে দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন। অবসাদ গ্রাস করে তাকে। এই অবসাদ থেকে নিজেকে বার করে আনার জন্যই প্রতি শুক্রবার নববধূর বেশে নিজেকে সাজান। হীরার স্বামী লন্ডনে থাকেন। তার কথায়, “একাকিত্ব থেকে নিজেকে বার করে আনতে, অবসাদ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে, নিজেকে আনন্দ দিতেই এই ভাবে সাজেন।” ১৬ বছর ধরে হীরা এ ভাবেই সেজে আসছেন প্রতি সপ্তাহে। সূত্র : এবিপি ও ডেইলি পাকিস্তান

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে