মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২, ১০:১৭:০০

মিষ্টিতে জাম-গোলাপ কিছুই নেই, তাহলে কেন এর নাম গোলাপজাম? জানুন

মিষ্টিতে জাম-গোলাপ কিছুই নেই, তাহলে কেন এর নাম গোলাপজাম? জানুন

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: খাবারের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গোপন তথ্য দিতে চলেছি আপনাদের যা আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে অনেকেই ওস্তাদ, কিন্তু গুলাব জামুন বা গোলাপজাম মিষ্টিকে কেন 'গুলাব জামুন' বা 'গোলাপ জাম' বলা হয় তার উত্তর  অনেকেই জানেন না। 

এদেশে জামও নেই, গোলাপও নেই, তবুও এর নাম গুলাব জামুন

আসলে সত্যি হল এই খাবারটি এসেছে পারস্য থেকে এবং পারস্যে গুলাব জামুনের মতো আরেকটি মিষ্টি তৈরি করা হয় যাকে বলা হয় লোকমাত আল-কাদি। এ তথ্য জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ মাইকেল ক্রানজল।

'গোলাপ' বা 'গুলাব' দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত, গুল মানে ফুল এবং আব মানে জল। অর্থাৎ সুগন্ধযুক্ত মিষ্টি পানি বা জল, চিনির শরবত তৈরি করলে তাতে সাধারণত একটি গন্ধ আসে এবং সেই জল মিষ্টি হয়ে যায়, যার কারণে একে গোলাপ বলা হয়।

অন্যদিকে খোয়া থেকে ময়দা তৈরি করা হয়। এমন অবস্থায়, এটিকেগাঢ় রঙ দেওয়ার জন্য ভাজা হয় এবং এই কারণে এটিকে জামুনের বা জামফলের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

বলা হয় এই মিষ্টিটি প্রথমে তুরস্কে তৈরি করা হয়েছিল, তারপরে তুরস্কের লোকেরা এটি ভারতে নিয়ে আসে এবং এটি মুঘল সম্রাট শাহজাহানের দরবারে প্রস্তুত করা হয়েছিল। 

অল্প সময়েই মিষ্টিটি ভারতে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল এবং বর্তমানে এটি ভারতীয়দের পছন্দসই খাদ্য তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

বিখ্যাত ইতিহাসবিদ মাইকেল করোন্ডাল জানান, এই খাবারটি পারস্য থেকে এসেছে। গোলাপ জাম বা গুলাব জামুনের সঙ্গে লোকমান আল-কাদিও একটি মিষ্টি যা চিনির সিরাপ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। 

উভয়ের স্বাদই প্রায় এক, বাংলায় এটি পান্তুয়া নামে পরিচিত। আবার কেউ কেউ একে গোলাপ জাম বা কালো জামও বলে।

বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে এই মিষ্টির। কোথাও স্বাদ অনুসারে একে কাটাঙ্গি বলা হয়, আবার কোথাও একেই রসগুল্লা বলা হয়।

কিছু গুলাব জামুন আকারে বড় হয় তো কিছু আবার হয় ছোট। শুধু তাই নয়, রাজস্থানে তৈরি হয় গুলাব জামুন সবজি। রাজস্থানে চিনির পরিবর্তে মশলা এবং টমেটো ব্যবহার করা হয় এই খাদ্যটি বানাতে। সূত্র: নিউজ এইট্টিন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে