মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২, ০৯:৪৭:১৭

আমের সঙ্গে যা খেলে ফলাফল হাতেনাতে!

আমের সঙ্গে যা খেলে ফলাফল হাতেনাতে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আমের খোসা ফেলে দেওয়াটাই দস্তুর। কামড় বসানো হয় রসালো শাঁসে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খোসাও কিছু কম যায় না। বরং আমের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ থাকতে পারে এর খোসাতে। আমের সঙ্গে যা খেলে ফলাফল হাতেনাতে! এমনই বলছে, ইউনিভার্সিটি অফ কুইনসল্যান্ড স্কুল অফ ফার্মেসির একটি গবেষণা। 

সেখানে বলা হয়েছে, আমের খোসা ফ্যাট কোষের গঠন কমায় তাই ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে এও বাহ্য। চমকে দেওয়ার মতো বিষয় হল, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যানসার কোষ কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমের খোসা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে।

আমের খোসা কীভাবে শরীরের উপকার করে : আমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ যৌগ, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ করতে এবং অকালবার্ধক্য রোধে সাহায্য করে। তা ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, কোলিন, পটাশিয়াম রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে : আমের খোসায় শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন ম্যাঙ্গিফেরিন, নোরাথাইরিওল এবং রেসভেরাট্রল রয়েছে। যা কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

ফাইবার সমৃদ্ধ: আমের খোসা ফাইবার সমৃদ্ধ। পুরুষদের উপর করা হাভার্ডের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমের খোসা খাওয়ার ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় আমের খোসা পাচনতন্ত্রের জন্যও ভালো।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: আমের খোসা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। বলা শাঁসের চেয়ে খোসা আরও বেশি পুষ্টিগুণে ভরা।

ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী : শুকনো আমের খোসা দারুণ ফেসিয়াল পণ্য। এটা গুঁড়ো করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গ্রীষ্মকালে এই ফেস প্যাক ত্বক উজ্জ্বল করে। শুধু তাই নয়, নিস্তেজ ত্বকের প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবেও এর ব্যবহার হয়। কালো দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।

প্রচণ্ড রোদে বেরোলে ত্বকের জন্য ডি ট্যানারের প্রয়োজন হয়। এ জন্য শুকনো আমের খোসার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লোশন মিশিয়ে সেটা মুখ, হাত এবং পায়ে লাগাতে হবে। শুকোনোর জন্য ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে। আমের খোসায় থাকা ভিটামিন ই এবং সি ভালো অ্যান্টি-ট্যানিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।

আমের খোসা কীভাবে খাওয়া যায় : খোসা না ছাড়িয়ে আম খাওয়ার চেষ্টা করা যায়। কিন্তু মুখে বিস্বাদ লাগলে বা গিলতে না পারলে ফেলে দেওয়াই উচিত। শুধু আমের খোসা চিবিয়ে খাওয়াটা শক্ত কাজ কারণ স্বাদ মোটেও ভালো নয়। তাই স্মুদির সঙ্গে খোসা ব্লেন্ড করে দেওয়া যায়। এতে স্বাদ বোঝা যাবে না। কিন্তু যথাযথ স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে।

এছাড়া খোসাগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে মশলা মিশিয়ে শুকিয়ে নেওয়া যায়। তারপর ব্যবহার করা যায় আমের চাটনি বা জুসে। তবে যে ফর্মই পছন্দ হোক না কেন, গ্রীষ্মে আমের খোসার উপকারিতা গ্রহণ করতে ভুললে চলবে না। সূত্র: নিউজ এইট্টিন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে