বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০১:৪৪:৪৫

ধনী হতে চাইলে ভুলেও এই ১৪টি কাজ করবেন না

ধনী হতে চাইলে ভুলেও এই ১৪টি কাজ করবেন না

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ধনী ও সফল হওয়ার জন্য সুধু সঞ্চয় করলেই হবে না নয়। অল্প বয়সে ধনী হলে চাই কঠিন অধ্যবসায়। কেননা ধনী হওয়া মোটেও সহজ বিষয় না। অধ্যবসয়ের পাশাপাশি কিছু কৌশল অবলম্বন করলে ধনী হওয়ার পাশাপাশি জীবনে সফলতাও আসবে।

শ্রম এবং ভাগ্য এই দুটি বিষয় একসঙ্গে আপনাকে সমর্থন যদি না করে তাহলে চেষ্টা করলেও আপনি বড়লোক হতে পারবেন না। আর সেই সঙ্গে যদি থাকে এই সমস্ত অভ্যেস। আর এই ১৪ টি উপায় নিয়েই আজকের লেখা সাজিয়েছি যা সঠিকভাবে অবলম্বন করলে আপনিও কম বয়সে ধনীর তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন।

১. আলস্য : নীতিশাস্ত্র অনুযায়ী, যদি আপনি কুঁড়ে হন। তাহলে আপনি কখনই বড়লোক হতে পারবেন না। বক্তব্যটি হল, যে পরিশ্রম করবে না, সে কোন ভাবেই টাকা রোজগার করতে পারবে না।

২. মহিলাদের দিকে কুনজরে তাকানো : মহিলাদের দিকে যেসমস্ত ব্যক্তি কুনজরে তাকান, তাদের উন্নতি হওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। টাকাপয়সার দেবী লক্ষী ঠাকুরও মহিলাদেরকে অসম্মান করার বিষয়টি মেনে নেন না। তাই যেসমস্ত ব্যক্তি অসম্মান করে মহিলাদেরকে। তাদের কপালে লক্ষী প্রাপ্তি হয়না।

৩. বিকেলে ঘুমানো উচিত নয় : সকাল থেকে বিকেলই মানুষের কাজের সময়। আর সেই সময়টিই যদি কেউ ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়, তাহলে সে যাই-ই করুক৷ টাকা রোজগার করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।

৪. একই মানসিকতার মানুষের সান্নিধ্যে থাকুন : আপনার চারপাশে সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের ঘোরাফেরা করে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন নন। নির্দিষ্ট কোনও গতিতে তাঁদের জীবনটা চলে না। এই ধরনের মানুষকে এড়িয়ে চলুন। যাঁদের নিজেদের লক্ষ্য স্থির, যাঁরা সাফল্যকে ছুঁতে দৃঢ় প্রত্যয়ী, তাঁদের সঙ্গে মিশুন, কথা বলুন। আপনিও সাফল্যকে ছুঁতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবেন। দ্রুত সফলতা অর্জনের জন্যে এ পথের কোন বিকল্প নেই।

৫. ‘শো অফ’ করার কোন প্রয়োজন নেই : শো অফ করা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পরেছে। নিজের জিনিশ অন্যের কাছে জাহির করতে ব্যস্ত আমরা। যেটা মোটেও শোভিনীয় নয়। আপনার যা রয়েছে, তা অন্যের কাছে জাহির করার চেষ্টা করবেন না। আপনি সত্যিই যদি কিছু অর্জন করতে পারেন, আপনার মধ্যে গুণ থাকলে, মানুষ এমনিতেই আপনাকে মান্য করবে। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।

৬. লক্ষ্যের ব্যাপারে স্পষ্ট হোন : সফলতা পাওয়ার আগে সবার আগে প্রয়োজন নিজের লক্ষ্যকে স্থির করা। নিজের লক্ষ্যই যদি আপনার কাছে অস্পষ্ট হয়, তাহলে তো তাকে ছোঁয়া কখনই সম্ভব নয়। লক্ষ্য ছাড়া সাফল্যের শীর্ষচূড়ায় পৌঁছানো সম্ভব নয়। লক্ষ্যই হচ্ছে সাফল্যের সিঁড়ি সরূপ। লক্ষ্যই সাফল্যের ভিত্তি স্থাপন তৈরী করে দেয়। বলা যেতে পারে সাফল্যের নীল নকশা। তাই সাফল্যের স্বর্ণশিখড়ে নিজেকে আবিষ্কার করতে হলে নিজের লক্ষ্যর ব্যাপারে স্পষ্ট হতে হবে।

৭। প্রতিটি অর্থের হিসেব রাখুন : কোথায়, কখন, কি কারণে কতোটা অর্থ ব্যয় করছেন তার প্রত্যেকটির হিসাব রাখুন। বেহিসেবি অর্থ ব্যয় করে কখনোই ধনী হওয়া সম্ভব নয়। হয়তো মানুসগ আপনাকে কিপটে বলতে পারেন। কিন্তু তারপরও নিজের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে একটু টিটকারি হজম করে নিন।

৮। অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজুন : শুধুমাত্র একটি চাকুরীর আশায় বসে থেকে ভাববেন না আপনি ধনী হয়ে যাবেন। একটি কাজের জন্য বসে থাকলে আপনার টাকার পরিমাণ কখনই বৃদ্ধি পাবে না। আর টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে ধনী হওয়া সম্ভব নয়। তাই চাকরির পাশাপাশি অন্য কিছু করুন। ছোটোখাটো কোনো ব্যবসা খোলার চেষ্টা করুন। নিজের উপার্জনের মাধ্যম বাড়িয়ে নিন ২৫ বছরের পর থেকেই।

৯। অপব্যয় করবেন না​: সঞ্চয় আপনার জীবনের যেকোন সময় অনেক গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আপনি মিতব্যয়ী হওয়ার চেষ্টা করুন, তা আপনার পক্ষেই লাভজনক। সঞ্চয় করাটা অভ্যাসে পরিণত করুন। খুব অল্প বয়সে ধনী হতে পারবেন। অপব্যয় করবেন না।

১০। আর্থিক পরিকল্পনা করুন : আর্থিক পরিকল্পনা ব্যবসার ক্ষেত্রে খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পনা ছাড়া আর যাই হোক ব্যবসা হয়না। এবং সকল ক্ষেত্রেই পরিকল্পনার বিকল্প আর কিছুওই নাই। যে কোন ব্যবসায়ে ‘অর্থায়ন’ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যদি ছোটো ব্যবসায়ী হন, তা অত্যন্ত জরুরী। আয়ের উৎসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, ব্যয় করুন। তার একটি হিসাব রাখুন। বেহিসাবি মানুষ জীবনে উন্নতি সাধন করতে পারে না। তাই নিজের জন্য একটি আর্থিক পরিকল্পনা করুন।

১১। অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার পেছনে অর্থ ব্যয় বন্ধ করুন : অতিরিক্ত এবং অযথা জিনিস কেনার অভ্যাস দূর করে ফেলুন একেবারেই। অনেকেরই দামী মোবাইল বা অন্যান্য অনেক কিছুর শখ থাকে। কিন্তু সেটা পড়ে করলেও চলবে। কেননা ধনী ব্যক্তিরা টাকার অপচয় করে না। তারা বরং টাকা বাচিয়ে কোন প্রয়োজনীয় কাজে সেই টাকা বিনিয়োগ করে এবং বেলাশেষে সেই টাকার অংক দিগুণ হয়। আর ধনী হতে হলে এই গুনে গুণান্বিত হওয়া অত্যন্ত জরুরী। তাই এখন একটু কষ্ট করে এই অযথা জিনিসগুলো ত্যাগ করে দিলে তা আপনার ভবিষ্যতটাকেই উন্নত করবে।

১২.  ধার বা লোণ না করার চেষ্টা করুন : যদি প্রতি মাসেই আপনার ধার বা লোণ করে মাস পার করতে হয় তাহলে আপনি কখনোই নিজের উপার্জনের কিছুই রাখতে পারবেন না। ফলে আপনার অর্থের সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়বে। ফলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন তাই। ধার বা লোন নেয়া থেকে বিরত থাকুন। মাস শেষে যদি কষ্টও হয় তাহলে একেবারে বিপদে না পড়লে ধার বা লোণ করার অভ্যাস গড়ে তুলবেন না। কারণ এটি এক ধরণের পিছুটানের মতোই কাজ করে। যেটা আপনাকে ধনি হওয়ার পথ থেকে বিচ্যুত করবে।

১৩. বুদ্ধি খাটিয়ে ইনভেস্ট করুন : বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বুদ্ধিই হলো মূল মূলধন। কেননা চিন্তা ভাবনা না করে বোকার মত ভুল জায়গায় বিনিয়োগ করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে এইটাই স্বাভাবিক। তাই কোথায় কোন ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে লভ্যাংশের কিছু অংশ আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে সে ব্যাপারে নিজেকে তৈরি করে নিন। নিজের বুদ্ধি এবং জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ইনভেস্ট করার চেষ্টা করুন এবং এমন স্থানে করুন যাতে আপনাকে লসের মুখে পরতে না হয়।

১৪. ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করুন : আপনি যদি চাকুরিজীবী হন, তাহলে সময় বার করে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কেননা চাকরী করে কম বয়সে বেশী অর্থ উপার্জন করা সম্ভব নয় কেননা চাকরীতে পরিমিত টাকা পাওয়া যায়। তাই ছোটখাটো ব্যাবসা শুরু করা উচিৎ আর সেই ব্যবসটা প্ল্যান করে করতে হবে।

প্রথমেই যে ব্যবসা থেকে ভালো ফল পাবেন, তা নয়। ব্যবসা করতে গেলে হোঁচট খেলে হতাশ হবেন না, লেগে থাকুন। শেষ পর্যন্ত জয় আপনারই হবে।তবে ধৈর্য্যের সঙ্গে ব্যবসায় আত্মবিনিয়োগ করুন, সফলতা আসবেই।

 

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে