সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:৫৫:৩৩

হার্ট অ্যাটাকের এই ১২টি লক্ষণ দেখা দেয় এক মাস আগেই

হার্ট অ্যাটাকের এই ১২টি লক্ষণ দেখা দেয় এক মাস আগেই

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: হার্ট অ্যাটাক। আধুনিক জীবনযাপনের নীরব ঘাতক। কখন যে আসবে তার ঠিক নেই। তাই একটা বয়সের পর অনেকেই ভয়ে থাকেন। হার্ট অ্যাটাক হলে বাঁচার আশা অনেকটাই কমে যায়। অনেকেই বলেন, নীরব ঘাতক হার্ট অ্যাটাক। আগে থেকে বোঝা যায় না। ফলে ঠেকানোর উপায় নেই। এটা কিন্তু একেবারেই ভুল ধারণা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে ঝাঁকুনি দেয়। হঠাৎ করে শুরু হয় না। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি এক মাস আগে থেকেই বোঝা যায়। তখনই সাবধান হলে রোখা যায়। তাই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

অতিসম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, এক মাস আগে থেকে সংকেত দেয় হার্ট অ্যাটাক। ৫০০ জন মহিলার উপরে এই গবেষণা চালানো হয়েছিল। সার্কুলেশন জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,হার্ট অ্যাটাকের ১ মাস আগে থেকেই লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। গবেষণায় ৫০০-র বেশি মহিলা অংশ নিয়েছিলেন। 

সামগ্রিকভাবে, ৯৫ শতাংশ মহিলা জানায়, হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে শরীরে কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করেছেন। ৭১ শতাংশের মতে, ক্লান্ত হয়ে উঠছিলেন। ৪৮ শতাংশের দাবি, তাঁরা ঘুমের সমস্যা অনুভব করেছেন। কয়েকজন মহিলা বুকে ব্যথা, ভার,ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেছেন। হার্ট অ্যাটাকের এই ১২টি লক্ষণ দেখা দেয় এক মাস আগেই।

লক্ষণগুলো: ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা, বদহজম, উদ্বেগ, হৃদস্পন্দন দ্রুত, হাতে অসাড়তা/দুর্বল হওয়া/ভারীভাব, চিন্তামগ্ন বা ভুলে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা, ক্ষুদা কম লাগা, হাত ও পায়ে কাঁপুনি, রাতে শ্বাস নিতে অসুবিধা।

হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ কারণ: স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান এবং অত্যাধিক অ্যালকোহল খাওয়া, বেশি ফ্যাটের খাবার।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে যা করবেন: হার্টকে নিরাপদ রাখতে স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার খান, প্রক্রিয়াজাত, চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, খেলেও অল্প খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন, মদ ও ধূমপান ছাড়ুন।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে শরীরে রক্ত ​​​​প্রবাহ সচল রাখতে বা পুনরুদ্ধার করতে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) শুরু করুন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যে যদি সিপিআর করা হয় তবে এটি একজন ব্যক্তির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দ্বিগুণ হতে পারে। সিপিআর হল এমন একটি জীবনদায়ী পদ্ধতি। আরও জানতে হৃদ রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াটুডে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে