বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ১০:৫৩:০৮

স্ত্রীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে এই পদ্ধতি মেনে চলুন!

স্ত্রীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে এই পদ্ধতি মেনে চলুন!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রাগ থাকা ভালো। তবে তা মাত্রাতিরিক্ত হলে সতর্ক হতে হবে। আর এই কারণে অনেক পুরুষ নিজের স্ত্রীকে ভয় পান। তবে কী ভাবে মিলবে মুক্তি? আসুন জানা যাক দ্রুত।

স্ত্রীকে ভয় পেলে নিজেকে দোষী ভাববেন না। বরং তা না পেলেই ভাববেন আপনি একটু অদ্ভুত। তবে সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকলে চলবে না। বরং কিছু রাস্তা বের করতে হবে যার মাধ্যমে সহজে সমস্যা মেটানো যায়।

আসলে কিছু মানুষ একটু বেশি মেজাজি হন। তাঁদের রাগ নাকের ডগায় থাকে। পান থেকে চুন খসতেই তাঁরা একের পর এক কথা শুনিয়ে দেন। রাগে ডগমগ করতে থাকেন। এবার এই মানুষগুলিকে নিয়ে সচেতন থাকাটা সবার আগে জরুরি। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।

মনে রাখবেন আমাদের মধ্যেই কিছুজনের স্ত্রী এই গুণের ধারক ও বাহক। এবার এই মানুষগুলিকে ভয় পাওয়া হল খুবই স্বাভাবিক। তবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে অতিরিক্ত ভীতি ঢুকে গেলে সমস্যা।

স্ত্রীকে ভয় পাওয়ার লক্ষণ: ১. স্ত্রীর বলতে শুরু করলেই আপনি চুপ ২. তাঁর কথার উপর কোনও মত দেন না ৩. যতটা পারেন তাঁকে না চটিয়ে চলতে চান ইত্যাদি। এবার রাগী স্ত্রীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে এই পদ্ধতি মেনে চলুন: 

১. সাহস জোগান: আপনাকে সাহসী হতে হবে মশাই। আপনি যদি এই কাজটা সহজে না করে উঠতে পারেন, দেখবেন জটিলতা বাড়ছে। মনে রাখবেন, আপনার ভিতরে জ্বলা ওঠা আগুনই এই সমস্যাকে নির্মূল করতে পারে। তাই নিজের ভিতর অবশ্যই সাহসের স্ফুলিঙ্গে ফুঁ দিন। দেখবেন কিছুদিনেই ভয় কেটেছে। আপনি শান্তিতে থাকতে পারছেন।

২. মনের কথা লুকিয়ে রাখা নয়: স্ত্রী রাগ দেখাচ্ছেন বলেই যে আপনি চুপ করে শুনতে থাকবেন, এমনটা হতে দেওয়া যাবে না। বরং বলে দিন মুখ খুলে। আপনি মুখ খুলতে পারলেই দেখবেন তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারছেন। অনেক সময় হয়তো তিনি পাল্টা উত্তর দেবেন। তবে সেইটুকু ঝামেলা প্রথম প্রথম সহ্য করতে হবে। তবেই সমস্যা ফেলে এগিয়ে যেতে পারবেন।

৩. তাঁকে বোঝান: এভাবে যে চলতে পারে না, এটা তাঁকে বোঝাতে হবে। তাঁর রাগে যে আপনার সমস্যা হচ্ছে, এটাও বলা প্রয়োজন। তবে রাগের মুহূর্তে এই কথা বলে নিজেকে ঝামেলায় ফেলবেন না। বরং একটু ধৈর্য ধরুন। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর তাঁকে বোঝানো যেতে পারে। এবার থেকে এই বিষয়গুলির দিকে খেয়াল রাখাটা সবার আগে প্রয়োজন। নিজেকে সেই মতো তৈরি করে নিন। আশা করছি সব সমস্যা মিটবে সহজেই। তাই চিন্তা নেই বললেই চলে।

৪. আপনি কথা বন্ধ করে দিন: অনেক সময় এই সকল পদ্ধতি মেনে চলার পরও মানুষ শোধরান না। তাঁরা নিজেদের ধারণাই মাথায় নিয়ে বসে থাকেন। সেই পরিস্থিতিতে সবথেকে ভালো কাজ হতে পারে কথা বন্ধ করে দেওয়া। আপনি তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ কথা বন্ধ করুন। আশা করছি তিনি নিজের ভুল ধরতে পারবেন। তখন বদলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই দেখুন।

৫. কাউন্সিলিং জরুরি: অনেক সময় দেখা যায় এই সমস্যার কেন্দ্র অনেক গভীরে। আর তার তল আপনি পাবেন না। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। তাঁর কাছে সবটা খুলে বলুন। তিনি নিশ্চয়ই গোটা বিষয়টার সমাধান করে দিতে পারবেন। পারলে কাউন্সিলিং করান। দেখুন কী প্রয়োজন। সেই বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে