শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩, ১০:১৬:৫৪

ঘুম দিবস পালন : জানুন বিস্তারিত

ঘুম দিবস পালন : জানুন বিস্তারিত

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কত দিবসই না আছে। তার মধ্যে কিছু কিছু দিবস আমরা ঘটা করে পালন করি। আজ মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবার। এদিন বিশ্বব্যাপী ঘুম দিবস পালন করা হয়। ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিন সুনিদ্রার গুরুত্ব বোঝাতে ২০০৮ সাল থেকে দিনটি পালন করে থাকে। 

তাই এ বছরের দিনটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার মতোই ঘুমও অত্যাবশ্যকীয়। পরিপূর্ণ ঘুম শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতার মূল ভিত্তি’। ঘুম কেন প্রয়োজন এবং ঘুম না হলে কী করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কে, কখন, কতক্ষণ ঘুমাবেন : প্রতিটি মানুষ আলাদা। তাই খাবারের মতো সবার ঘুমের চাহিদাও একরকম হয় না। গবেষকদের মতে, সাধারণত জন্মের পর থেকে এক বছর পর্যন্ত শিশুদের দৈনিক ১২-১৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। 

বয়সের ধারা অনুসারে- এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমানো ভালো। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের জন্য ১০-১৩ ঘণ্টার ঘুম যথেষ্ট। স্কুলগামী অর্থাৎ ৬-১২ বছরের শিশুদের দিনে ৯-১২ ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়। টিনএজারদের জন্য দৈনিক ১০ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আর সুস্থতার জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম চাই। 

সুস্বাস্থ্যের জন্য রাতজাগা যাবে না। রাত ১১-১২টার মধ্যে বিছানায় যেতে হবে। দিনের ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই দিনের বেলায় কোনো অবস্থাতেই ১৫ থেকে ৪৫ মিনিটের বেশি ঘুমানো যাবে না।

ঘুম কেন জরুরি : ঘুম রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঘুম আমাদের মেটাবলিজম সিস্টেম আর ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে। হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। সারা দিন কাজ করার পর মস্তিষ্কের বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্ক দীর্ঘ আর স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি গুছিয়ে জড়ো করে রাখে। শারীরিক, মানসিক ও মস্তিষ্কের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুমের বিকল্প নেই।

ঘুমের অভাব হলে যা করবেন : ঘুমের অভাবে হার্ট অ্যাটাক, হার্টের নানা অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসের মতো রোগের আশঙ্কা থাকে। ঘুমের অভাব হলে শরীরে কার্টিসল নামের একটা হরমোনের নিঃসরণ হয়। এটা ত্বকের কোলাজেন ভেঙে ফেলে। 

ফলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। কম ঘুমানোর সঙ্গে অবসাদগ্রস্ততার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ভুলে যাওয়া রোগ, ডিপ্রেশন, সবসময় ক্লান্ত থাকা, মেজাজ খিটখিটে হওয়ার মতো সমস্যার মূলে থাকতে পারে ঘুমের অভাব।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে