বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১, ১০:০৩:৩৩

পর পর তিন আপন বোনকে বিয়ে করলেন আবদুল হক! পেছনে এক করুণ কাহিনী

পর পর তিন আপন বোনকে বিয়ে করলেন আবদুল হক! পেছনে এক করুণ কাহিনী

নিউজ ডেস্ক: পর পর তিন আপন বোনকে বিয়ে করলেন আবদুল হক চৌধুরী আর এর পেছনে লুকায়িত এক করুণ কাহিনী। প্রথমে সবুরা খাতুন, রাশেদা সর্বশেষ খাদিজা এই তিন বোনকেই একে একে বিয়ে করেন ফেনীর আবদুল হক চৌধুরী। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার বোনকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যু হলে আরেক বোনকে বিয়ে করেন। এভাবেই পর্যায়ক্রমে তিন বোনকে বিয়ে করেন। প্রতিটি বিয়েই তিনি করেছেন পারিবারিক সিদ্ধান্তে। প্রতিটি বিয়ের পেছনে আছে একটি বিয়োগান্তক অধ্যায়, সন্তানদের ভালো রাখার নিরন্তর চেষ্টা।

এদিকে আবদুল হক চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ফেনীর সাউথ অফিসের ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তিনি উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের গুনক গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে।

প্রাপ্ত তথ্যে, আবদুল হক চৌধুরী ১৯৯৫ সালে ১৪ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের বাদুরিয়া গ্রামের সেকান্তর বাদশার বড় মেয়ে সবুরা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। ১৯ বছর সংসার শেষে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সবুরা। কয়েক মাস পার হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে সবুরার ছোট বোন রাশেদাকে বিয়ে করেন আবদুল হক চৌধুরী। এ সংসারে একটি কন্যাসন্তান হয়। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! ছয় বছর সংসার করার পর রাশেদাও অসুস্থ হয়ে মারা যান।

পরপর দুই স্ত্রীর মৃত্যুতে আবদুল হক চৌধুরী ও তার শ্বশুরের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। দুই স্ত্রী হারিয়ে তিন এতিম মেয়ে নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটে আবদুল হকের।

মা-খালার মৃত্যুতে শোকে কাতর মেয়েরা অবস্থান করে নানাবাড়িতে। অন্যদিকে স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বনিবনা না হওয়ায় সংসার ভেঙে যায় আবদুল হক চৌধুরীর মেজ শ্যালিকা খাদিজার।

জানা যায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে এতিম মেয়েদের কথা চিন্তা করে খাদিজাকে বিয়ে করতে সম্মত হন আবদুল হক। সে অনুযায়ী গত মাসে সামাজিকভাবে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে