সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯, ১১:৫৪:২৪

ব্রাশফায়ারে আহত ১১ জনকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম নেয়া হচ্ছে

 ব্রাশফায়ারে আহত ১১ জনকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম নেয়া হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে একটি নির্বাচনী গাড়িতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে গুলিবিদ্ধ ১১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি রিজিওনের জি ২ মেজর রফিকুল ইসলাম।

বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে এ সহিংসতা ঘটে। এতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ৬ জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যার দিকে ভোট গণনা শেষে উপজেলার সাজেক বাঘাইহাট থেকে বাঘাইছড়ি ফেরার পথে ৯ কিলোমিটার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ৬ জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত যাদের নাম নিশ্চিত হওয়া যায় তারা হলেন- আনসার-ভিডিপি সদস্য মো, আল আমিন, বিলকিস, জাহানারা, মন্টু চাকমা, মিহির কান্তি দত্ত, মো. আমির হোসেন (শিক্ষক কিশোলয় প্রাথমিক বিদ্যালয়)। বাঘাইছড়ি থানার ওসি এমএ মঞ্জুর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গুলিবিদ্ধ ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ সদস্য ৪ জন, শিশু ১ জন, নারী ২ জন, আনসার ৩ জন। আরও একজনকে নিশ্চিত করা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত আহতদের নাম পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঘাইছড়ির সাজেকের কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে সেখানে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে গাড়িযোগে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ফিরছিলেন। পথে বাঘাইছড়ির ৯ কিলোমিটার নামক এলাকায় গাড়িটির ওপর লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ার করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।

নিহতদের মধ্যে আনসার ও ভিডিপিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন বলে জানা গেছে। হতাহতদের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া গেলেও তাৎক্ষণিক তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল হান্নান আরব মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অন্য আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদিকে নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটদান নিয়ে সকাল থেকে দিনভর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে টানটান উত্তেজনা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে।

এর মধ্যে দুপুরের দিকে জনসংহতি সমিতির (মূল) সমর্থিত প্রার্থী বড় ঋষি চাকমা তার সমর্থিত দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ এবং সংস্কারপন্থী জেএসএস নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি ও জালভোট প্রয়োগ করছিল। তাই তিনি ভোট বর্জন করেছেন।

পরে পাল্টা অভিযোগ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বড় ঋষি চাকমার বক্তব্যের জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংস্কারপন্থী জেএসএস’এর প্রার্থী সুদর্শন চাকমা বলেছেন, বড় ঋষির অভিযোগ অসত্য।

প্রশাসনকে বিতর্কিত করতে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এসব পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ঘিরে উভয় দলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বলে জানায় স্থানীয় সূত্রগুলো।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে