বুধবার, ২০ মে, ২০২০, ০৯:১৫:৩৩

সূর্য না ডোবার দেশে যেভাবে পালিত হচ্ছে রোজা!

সূর্য না ডোবার দেশে যেভাবে পালিত হচ্ছে রোজা!

ইসলাম ডেস্ক : রোজ সকালে সূর্য পূর্বদিকে ওঠে, পশ্চিমে ঢলে পড়ে সন্ধ্যাবেলায়। এই তো পৃথিবীর নিয়ম! তবে কিছু জায়গা সবসময়ই থেকে যায় এই হিসেবের বাইরে। যেমন— স্ক্যান্ডেনেভিয়া অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে দিন বড়, রাত খুবই ছোট। আবার কোথাও কোথাও ২৪ ঘণ্টাই দিন থাকে।

চলছে সিয়াম সাধনার মাস। মুসলমানদের অতি পবিত্রতার মাস। যেখানে সূর্য ডোবেই না, সেখানে কখন সেহরি খাবেন বা ইফতার করবেন তারা? প্রশ্ন জাগতেই পারে আপনার মনে। গত কয়েক দশকে এসব স্থানের মুসলিমরা ভৌগোলিক কারণে নামাজের সময়সূচি এবং রোজা রাখা নিয়ে বিপাকে পড়েন।

নরওয়ের উচ্চ অক্ষাংশের জন্য এখানকার বেশিরভাগ স্থানে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত সূর্য ঝুলে থাকে সীমান্তের কাছাকাছিতে। ডোবেনা একেবারেই। ইফতার ও সেহরির বিষয়ে মুসলিম ধর্ম-তাত্ত্বিকদের নির্ধারণ করা কোনো সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকায় দেশটির একাংশের মুসলিমরাও ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম মেনে চলেন। যেমন অনেকেই সৌদি আরবের মক্কা নগরের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন।

অন্যান্য সূর্য না ডোবা দেশগুলোর তুলনায় একটু বেশি উষ্ণ সুইডেনের উত্তরের শহর কিরুনায় সূর্যাস্ত হয় একদম মাঝরাতে। আবার সূর্য জেগেও ওঠে ভোর ৪ টা ৩০ মিনিটে। প্রতি বছরের মে থেকে শুরু করে আগস্টের শেষ অবদি পর্যন্ত এমনটা চলতে থাকে এখানে। কিরুনা শহরের বেশির ভাগ মুসলিমই এক হাজার ২৪০ কিলোমিটার দূরের স্টকহোমের স্থানীয় সময়ের সঙ্গে মিল রেখে সেহরি ও ইফতার করেন। আরেক দল মুসলিম আছেন, যারা নামাজের স্থানীয় নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে মিল রেখেই রোজা রাখেন।

সবচেয়ে বেশি সময় রোজা থাকতে হয় ফিনল্যান্ডের ওই ল্যাপল্যান্ড এলাকার মুসলিমদের। সেখানে সূর্য ডোবার পর ৫৫ মিনিট পরেই আবার সুর্যোদয় হয়। ঢাকা থেকে ১৪ বছর আগে উত্তর ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ড যান নাফিসা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, রোজার জন্য সময় নির্ধারণ করা এখানে অনেক কষ্টের। তাই আমি মক্কার সময় অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিই।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে