বুধবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৫৭:২২

সাত বছর কঠোর গবেষণা চালিয়ে অবশেষে কোরিয়ান ভাষায় কুরআনের প্রথম অনুবাদ

সাত বছর কঠোর গবেষণা চালিয়ে অবশেষে কোরিয়ান ভাষায় কুরআনের প্রথম অনুবাদ

কোরিয়ানদের সঙ্গে ইসলামের আন্তঃসামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রায় ১২শ বছর আগে। কিন্তু গত শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআনের কোনো অনুবাদ ছিল না। 'ইসলামিক কল ইন কোরিয়া' নামে খ্যাত 'ড. হামিদ চৈ ইয়াং কিল' সাত বছর কঠোর গবেষণা চালিয়ে অবশেষে কোরিয়ান ভাষায় কুরআনের প্রথম অনুবাদকারী হিসেবে গৌরব অর্জন করেন।

ড. হামিদ চৈ-এর শৈশব ও পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও জানা যায়, তার বয়স বর্তমানে প্রায় ৭০ বছর। তিনি ১৯৭৫ সালে হানকুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন। তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদিনা থেকে 'ফান্ডামেন্টালস অব রিলিজিয়ন অ্যান্ড দাওয়াহ' বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন (১৯৭৬-১৯৮০ খ্রি.)। এ সময় আরব বিশ্বের খ্যাতিমান আলেম শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ড. হামিদ চৈ-এর জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো— কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ সম্পন্ন করা। এটি একমাত্র কোরিয়ান ভাষায় কুরআনের প্রথম অনুবাদ। এছাড়া তিনি এ পর্যন্ত ৩০টির বেশি ইসলামী বই কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করেছেন। তিনি ১৯৮৬ সালে সুদানের খার্তুমে অবস্থিত উমদুর্মান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে 'ইসলামিক কল ইন কোরিয়া' শিরোনামে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

পেশাগত জীবনে ড. হামিদ চৈ ইয়াং কিল একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। কর্মজীবনে মিয়নজি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।তিনি 'মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের' সদস্য এবং কোরিয়ান মুসলিম ফেডারেশনের (কেএমএফ) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  অসীম বিকাশ বড়ুয়া, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে