এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২৮ দিন বয়সী এক কন্যাশিশুকে রেখে লাপাত্তা হওয়ার পাঁচদিন পর নিজেদের শিশুটির স্বজন দাবি করেছেন দুজন। তাদের দাবি, ওষুধ কিনতে তারা বাড়িতে গিয়েছিলেন। সোমবার (৬ মার্চ) ফিরে এসে দেখেন শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নবজাতক সেবাকেন্দ্রে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বজনদের দেওয়া ঠিকানার সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি তথ্যের গড়মিল রয়েছে। তাই শিশুটিকে নিতে হলে ডিএনএ টেস্ট করতে হবে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটিকে ভর্তি করান এক দম্পতি। হাসপাতালের রেজিস্টারে তাদের নাম রকিব-রোকসানা লেখা রয়েছে। গ্রামের বাড়ি জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়রা। বুধবার (১ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে চলে যান তারা। পরে কাউকে না পেয়ে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্রে। হাসপাতালের কর্মকর্তারা এতদিন দেখভাল করলেও হদিস পাওয়া যায়নি কারও।
তবে সোমবার হাসপাতালে ছুটে আসেন শিশুটির নানি দাবি করা রোকসানা ও মা শিফা। তাদের দাবি, ওষুধ কিনতে তারা বাড়িতে গিয়েছিলেন। আসতে দেরি হওয়ায় শিশুটির কাছে যেতে দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশুটির মা দাবি করা শিফা খাতুন বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের ভেতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কথা কেউ বিশ্বাস করছেন না। এতে আমরা চিন্তায় রয়েছি।
এ বিষয়ে জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, স্বজনদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে হাসপাতালের ভর্তি তথ্যের গড়মিল রয়েছে। এছাড়া বাচ্চার স্বজনরা বলছেন, ওষুধের টাকার জন্য বাড়িতে গিয়েছিলেন যা মোটেও সত্যি নয়। কেননা নবজাতকের জন্য সব ধরনের ওষুধের শতভাগ সাপ্লাই হাসপাতালে রয়েছে।
জামালপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, বাচ্চাটির পরিচয় শনাক্তে শিশুটির বাড়িতে আমাদের অফিসাররা যাবেন। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।