ঢাকা : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণের দাবিতে দুদিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ওইদিন তারা পরীক্ষা নেবেন।
বৃহস্পতিবার এক বৈঠক শেষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জোট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রবিবার ও ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।
এর আগে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে প্রভোস্টের কার্যালয়ে আন্দোলনরত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন বৈঠক করে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে ফেডারেশনের মহাসচিব ও সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘রবিবারের (১৩ সেপ্টেম্বর) কর্মসূচির সিদ্ধান্ত শিক্ষকেরা আগেই নিয়েছিলেন। আজকের বৈঠকে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কর্মবিরতির মধ্যেও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এরপর বৃহস্পতিবারও (১৭ সেপ্টেম্বর) একই কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকেরা। তবে এর মধ্যে সরকার আলোচনার প্রস্তাব দিলে শিক্ষকেরা অবশ্যই সে বিষয়ে সাড়া দিবেন। সেক্ষেত্রে কর্মসূচি নিয়ে তারা নতুন করে ভাববেন।’
এর আগেও একই দাবিতে কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। দেশে বর্তমানে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি এবং অর্থমন্ত্রীর ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল বুধবারও কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন দেশের সাতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
গত সোমবার মন্ত্রিসভায় নতুন অনুমোদিত জাতীয় বেতনকাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদাহানি ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে— এমন দাবিতে গত মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা।
এই কর্মবিরতিকে ‘যুক্তিহীন’ দাবি করে ওইদিনই শিক্ষকদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছে।
অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যে গতকাল বুধবার ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ