বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:০২:০২

‘সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি’

‘সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি’

নিউজ ডেস্ক : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।  অর্ধেকেরও বেশি আসনে প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তার ১৮ দলীয়  রাজনৈতিক জোট নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা  ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৬টিতে।  

যুক্তরাষ্ট্র সরকার  কর্তৃক প্রকাশিত ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ বা আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অধ্যায়ে এ কথা বলা হয়েছে।

২৩৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব সহিংসতার পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু যে রিপোর্ট বেরিয়ে এসেছে তাতে দেখা যায় সরকার আক্রান্ত এলাকায় যেসব পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের পাঠিয়েছে তারা সেখানে সহিংসতা বন্ধ করতে পারে নি।  এমনকি কিছু এলাকায় তারা নিজেরাই সহিংসতায় অংশ নিয়েছে।

দেশের ২০১১ সালের শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯০ বাগ মানুষই  সুন্নি মুসলিম। মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯.৫ ভাগ হলো হিন্দু। বাকি শতকরা এক ভাগেরও কম রয়েছে খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সহ অন্য ধর্মের মানুষ। ইউনাইটেড স্টেট কমিশন প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে তাদের একজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করেন।

রিপোর্টিংকালে ঢাকার রাজপথে আলাদাভাবে  নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় দু’জন ধর্ম নিরপেক্ষ ব্লগারকে। তার একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিনি অভিজিত রায়। তাকে এ বছরের ২৬শে ফেব্রুয়ারি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রীকে করা হয় মারাত্মক আহত। এ বছরের মার্চের শুরুতে এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে একজনকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।  

৩০ মার্চ ওয়াশিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রিপোর্টিকালে  তিনজন নাস্তিককে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।  তারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত যুদ্ধ অপরাধ আদালত নিয়ে  ব্লগ প্রকাশের পর তাদেরকে গ্রেফতার করে অভিযোগ গঠন করা হয় যে, তারা  ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত দিয়েছেন।
১৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে