শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ০৮:৩৪:৪৬

বিল গেটস তার সন্তানদের বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগে স্মার্টফোন দেননি : তথ্যমন্ত্রী

বিল গেটস তার সন্তানদের বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগে স্মার্টফোন দেননি : তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:  সন্তানদের ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সন্তানদের স্মার্টফোনের বদলে হাতে বই তুলে দিন।

তিনি বলেন, একসময় লাইব্রেরিতে গিয়ে মানুষের পড়ার প্রতি ঝোঁক ছিল। কিন্তু স্মার্টফোন সেই অভ্যাস কেড়ে নিয়েছে। বিল গেটস তার সন্তানদের বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগে স্মার্টফোন দেননি। এটির অপব্যবহার নিয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

শনিবার সকাল ১১টায় তথ্যমন্ত্রীর নগরের বাসভবনে কবি আবদুর রউফ ও মনজিল মুরাদ লাভলুর দুটি কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কবিতা মনের ভাব প্রকাশ করার একটি মাধ্যম। কবিতা মনের কথা বলে, সমাজের কথা বলে। কবিতা মানুষকে পরিশীলিত হবার শিক্ষা দেয়, প্রতিবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করে। সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে কবিতা। তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের এই সময়ে কবিতা লেখার প্রতি আগ্রহ কমে আসছে।

তিনি বলেন, আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগেও কাগজে ছোটদের পাতা থাকতো। শিক্ষার্থীরা কবিতা লিখতো। সে কবিতা ছাপা হলে দেখতাম তাদের বাঁধভাঙা উল্লাস। সেটি এখন আর নেই। কাগজে এখন ছোটদের পাতা তেমন থাকে না, কবিতাও লেখা হয় না।

স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, আমিও ছোটবেলায় কবিতা লিখতাম। আমার অনেক কবিতা চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাগজে ছাপা হয়েছে। আমাদের স্কুলের বার্ষিকী সংখ্যায়ও আমার কবিতা ছাপা হয়েছে। স্কুলে যখন কোনও প্রতিযোগিতা হতো, তার পুরস্কার দেয়া হতো বই। সে বই এনে বাবাকে দেখাতাম, বাবা খুশি হতেন। আমার স্কুলের শিক্ষার কারণেই আজ এ জায়গায় আসতে পেরেছি।

আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার পর এখন আর কবিতা লেখা হয়ে ওঠে না। তবে অভিভাবকদের প্রতি আবেদন থাকবে, আপনারা সন্তানদের কবিতা পড়তে, সাহিত্য পাঠে উদ্বুদ্ধ করুন। স্মার্টফোন দেয়ার পরিবর্তে বই তুলে দিন। তাহলে আমাদের সন্তানদের যথাযথ মানসিক বিকাশ ঘটবে। এই চর্চা তাদের সাহিত্যপ্রেমী, সংস্কৃতিপ্রেমী হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রকৃত বাঙালি হওয়ার জন্যে, বাঙালিত্ব বজায় রাখার জন্যে পাঠাভ্যাসের বিকল্প নেই।

সাংবাদিক আজাদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সেকান্দর চৌধুরী ও আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম প্রমুখ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে