প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার প্রতি আস্থা রাখছেন পদবঞ্চিতরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে তাদের অবস্থানের কথা জানান আন্দোলনকারীরা।
এর আগে ১৪ মে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরপরই এই কমিটিতে অছাত্র, ছাত্রদল, বিবাহিত, মাদক ব্যবসায়ী, বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন তারা।
দাবি আদায় না হলে অনশন, মানববন্ধন কর্মসূচী ঘোষণা করেছিলেন। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে তার প্রতি আস্থার কথা জানান আন্দোলনকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা বিভিন্ন অভিযোগে বিতর্কিত ৯৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন।
পরবর্তী কর্মসূচীর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু বলেন, ‘যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সে নিদের্শনার বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেহেতু আমরা আর নতুন কোনো কর্মসূচীতে যাচ্ছি না। আর যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে আমরা পরবর্তীতে আন্দোলনে যাব। এর জন্য আমরা কোনো সময় বেঁধে দিবো না। কারণ আমরা আস্থা রাখছি।’
তিনি আরও বলেন: ‘ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (গোলাম রাব্বানী) বারবার একটা কথা বলেন যে, ছাত্রলীগের কমিটি চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। চুলচেরা বিশ্লেষণের পরেও যদি ১৭ জনের নাম পাওয়া যায়, তাহলে আমরা আরেকটু বিশ্লেষণ করতে পারলে একশো জনের নাম পেতে আমাদের কোনো সমস্যাই নেই। আমরা জানি তারা প্রচুর মিথ্যা কথা বলেন। কারণ কমিটি হওয়ার পর আমরা যখন আন্দোলন করতে আসি, তখন তারা বলেছে আমরা নাকি অযৌক্তিক আন্দোলন করছি। কিন্তু আমরা যদি আন্দোলন না করতাম তাহলে এই সতেরো জনেরও নাম বের হতো না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক থেকে পদত্যাগকারী খাজা খায়ের সুজন, গত কমিটির কর্মসূচী ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন, ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা সিকদার, তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।