সোমবার, ২০ মে, ২০১৯, ০৪:১৮:৫৫

কৃষকেরা ধানের দাম পাচ্ছেন না, এখানেও দুর্নীতি হচ্ছে: মেনন

কৃষকেরা ধানের দাম পাচ্ছেন না, এখানেও দুর্নীতি হচ্ছে: মেনন

নিউজ ডেস্ক: কৃষকের ধানের ক্ষেতে আগুন দেওয়ার ঘটনা আবেগের বহিঃপ্রকাশ দাবি করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, কৃষকেরা ধানের দাম পাচ্ছেন না, এখানেও দুর্নীতি হচ্ছে। সোমবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দুর্নীতি, ঋণ খেলাপি ও ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য বন্ধে বাজেটে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেনন বলেন, ‘কেউ কখনও নিজের ঘরে আগুন লাগাতে চায় না। কিন্তু আজকে যখন ধান উদ্বৃত্ত হয়ে গেছে, তাতে কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছেন না। কারণ, আমনের যে চাল ছিল বোরোতে এসে দেখা গেছে, মিলের মালিকরা আগেরটাই বিক্রি করতে পারেন নি। প্রশ্ন হলো তারা কেন পারেন নি। চালের দাম বাড়ছে, বেড়েই যায়। অথচ মিলের মালিকরা চাল বিক্রি করতে পারেন না, তার কারণ হলো— যেখানে আমাদের উদ্বৃত্ত ৩০ লাখে চলে গেছি, সেখানে আমরা ৬০ লাখ টনের মতো আমদানি করি। 

এখনও ৪ লাখ টন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। চালের দাম যখন একেবারে কঠিন অবস্থায় চলে গিয়েছিল, তখন বহু চিৎকার করে আমরা আমদানির ব্যাপারে বলেছি, শুল্ক আরোপ করেন। কেবিনেটে এই নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী সেদিন এই দৃঢ় ভূমিকাটি নিয়ে শুল্ক আরোপের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই শুল্ক উড়ে গেলো! হাওড়ে বন্যার কথা বলে বলা হলো– ‘আমাদের ১০ লাখ টন ঘাটতি হবে।’ এই বলে শুল্ক আবারও তুলে নেওয়া হলো। আমরা তো ধারণা করলাম না যে, আমাদের কত টন খাদ্য আসছে। তাহলে আমরা কেন চাল আমদানি করতে দিলাম?’

তিনি আরও বলেন, ‘এই আমদানির ক্ষেত্রে আমি আবারও দুর্নীতির জায়গায় চলে আসি। যেখানে পৃথিবীতে ৪০০ ডলার প্রতি টন, আমরা সেখানে নিয়ে এসেছি ৭০০ থেকে  একহাজার ডলার দরে প্রতি টন চান। এই যে মধ্যের এই টাকাটা কোথায় গেলো? এই টাকাটা চলে গেছে বিদেশে পাচার হয়ে। তাহলে দুর্নীতি তো গোড়ার মধ্যে রয়ে গেছে। এই যে কৃষক যারা ধানের দাম পাচ্ছেন না, তার মধ্যেও আছে দুর্নীতি নীতির ক্ষেত্রে। আর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি আরও প্রকট। সেখানে মধ্যসত্ত্বভোগী, দলীয় কর্মী, নেতারা চাল নেন। তারা বললেন, কৃষকের কাছ থেকে ধান নেওয়া হবে এক লাখ টন, আর বাকি নেওয়া হবে মিল মালিকের কাছ থেকে।’           

মেনন বলেন, ‘ছিয়ানব্বই সালে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ধান কেনা হয়েছিল বলে কৃষকরা ধানের ন্যায্য দাম পেয়েছিল। এবারও কুষ্টিয়ার একজন ডিসি ধান কিনেছেন এজন্য কৃষকরাও দাম পেয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের এক-তৃতীয়াংশ ধান সরকার কিনে নেয়। আর আমাদের সরকার বলে আমরা এত গোডাউন পাবো কোথায়? সরকার এত বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করছে, তাহলে কেন প্রতিটি ইউনিয়নে সাইলো করতে পারবে না।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে