নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি বেঁচে থাকবো, এটা কেউ আশা করেনি। রাজশাহী সফররত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ডাক্তাররা খরর দিয়েছিলেন যদি শেষবারের দেখা দেখতে চান, চলে আসুন।শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমার এই জায়গাটায় আসা এটা অলৌকিক বিষয়। আড়াই মাস আগে অসুস্থ হয়ে পড়ি। অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। রাজশাহী সফররত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ডাক্তাররা খরর দিয়েছিলেন, যদি শেষ বারের মতো দেখতে চান চলে আসুন।
তিনি বলেন, জীবন মত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলাম। দেশবাসীর দোয়া ও আল্লাহর অশেষ রহমতে বেচে আছি। প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মায়ের মতো, সেদিন ভূমিকা পালন করেছিলেন, তার প্রতি ঋণের কথা বলে গেলাম। আমার অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তখনও তিনি নাম ধরে বলেছিলেন পরবর্তী প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন আমার উপস্থিতিতেই হবে। তার ইচ্ছামত তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছিলো, যাতে আমি উপস্থিত থাকতে পারি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে তিনটি সেতুর চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে টাঙ্গাইল-গাজীপুর। গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিটি ঈদেই মানুষের ভোগান্তির অন্ত ছিল না। এ সেতু উদ্বোধনে আমার বিশ্বাস যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। চন্দ্র্রাতেও আমরা পরিবর্তন এনেছি। সেখানেও ফ্লাইওভার হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোনাবাড়ি ফ্লাইওভার নীরবেই হয়ে গেছে। চন্দ্রার পথে আরও পাঁচটি ফ্লাইওভার আগামী বছর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তনটা এই প্রকল্পগুলোর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে। যোগাযোগের চেহারাই পাল্টে যাচ্ছে।