নিউজ ডেস্ক: সারাদেশে তরুণ যুবকদের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বিটিভি, ১৬.০০
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা আমাদের সরকারের একাদশতম এবং বর্তমান মেয়াদে প্রথম বাজেট। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং চলতি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে এই বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ ধরে সেভাবে সরকার কাজ করছে বলেও জানান সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিবার কল্যাণবিভাগের জন্য ২৫ হাজার ৭শ ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব কার হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবির প্রেক্ষিতে বন্ধ থাকা এমপিওভুক্তির কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য উন্নয়নের মাধ্যমে চিকিৎসা ও অন্যান্য সামাজিক সুবিধা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৮টি মেডিকেল কলেজে নিউক্লিয়ার মেডিসিন ইনস্টিটিউট খোলা হবে। আগামী অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে মোট বরাদ্দ ২৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১.০২ শতাংশ।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১এর মাধ্যমে সারা দেশের মানুষ ইন্টারনেটসহ সকলপ্রকার সুযোগ সুবিধা পাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী অর্থবছরে পল্লী সেক্টরে ৫ হাজার ৫শ কিলোমিটার নতুন সড়ক, ৩০ হাজার ৫শ মিটার ব্রিজ, ক্লাভার্ট নির্মাণসহ গ্রোথসেন্টার, হাট বাজার, সাইক্লোন সেন্টার ইত্যাদি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকার প্রধান বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্পায়ন একান্তভাবে জরুরি। শিল্পায়ন ছাড়া যেমন বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয় না তেমনি একটি দেশ ও উন্নতি হয় না। তৈরি পোশাক শিল্পে রপ্তানিতে আমাদের দেশ দ্বিতীয় স্থানে আছে। বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটে এ খাতটি বিকাশমান এবং সম্ভাবনাময় খাত। এ বিবেচনায় এই খাতটির জন্য সরকার নগদ প্রণোদনা সহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতের সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।
নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে এবারের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আমরা অর্জন করবো, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের শীর্ষক এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এ বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।