মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯, ০৯:৫৪:১০

ভাগ্নে অপহরণ, ফেসবুক লাইভে এসে যা বললেন সোহেল তাজ

ভাগ্নে অপহরণ, ফেসবুক লাইভে এসে যা বললেন সোহেল তাজ

নিউজ ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে মামাতো বোনের ছেলে নিখোঁজ ইফতেখার আলম সৌরভকে অপহরণের বিষয়ে কথা বললেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সৌরভের বাবা-মাকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি।

এদিন সোহেল তাজ বলেন, দেশের কল্যাণে আমি কিছু উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করেছি। এরইমধ্যে আমার ভাগ্নে নিখোঁজ হলো। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আমরা সৌরভকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি এবং আমি নিজে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

এরপর সোহেল তাজ নিখোঁজ সৌরভের বাবা ইদ্রিস আলম মানিকের কাছে প্রশ্ন করেন, থানা থেকে আপডেট দেয়ার জন্য আপনার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেছে? এসময় সৌরভের বাবা বলেন, থানা থেকে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। আমি নিজে থানায় খোঁজ করলে পাঁচলাইশ থানার ওসি বলেন বলেন, ‌'আমরা এখনও কোনো খোঁজ পাইনি। আপনারা কোনো খোঁজ পেয়েছেন কি না?' তখন আমি বললাম, আপনাদের কাছে সিসি টিভির ফুটেজসহ সকল প্রমাণাদি থাকার পরেও আপনারা খোঁজ নিতে পারছেন না সেখানে আমি সাধারণ মানুষ হয়ে কিভাবে খোঁজ পাবো। তখন ওসি সাহেব বলেন, 'গতকাল যে প্রেস কনফারেন্স করলেন সেটার কোনো ফলাফল পাননি এখনো?'

এরপর সোহেল তাজ প্রশ্ন করেন, পুলিশের কাছে যে ফুটেজ আছে তাতে কী দেখা যাচ্ছে? জবাবে সৌরভের বাবা বলেন, ফুটেজে দেখা যায় গত ৯ জুন সন্ধ্যা ৬টা কত মিনিটে আমার ছেলে কোথায় দাঁড়িয়ে ছিলো এবং তার সঙ্গে কারা যোগাযোগ করলো। তারপর তাকে একটি কালো গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। এর আগে ঢাকার বনানী বাসা থেকে গত রমজান মাসে মে মাসের ১৬ তারিখে যারা তুলে নিয়ে গেছিলো র‌্যাব-১ পরিচয়ে তারাই গত ৯ জুন সকালে সৌরভকে ফোন করে দেখা করতে বলে।

এসময় সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান বলেন, গত রমজানে যারা ডেকে নিয়েছিলো তারাই আইটি বিভাগে চাকরি দেয়ার কথা বলে সার্টিফিকেট নিয়ে ঢাকায় দেখা করতে বলে। এরপর গত ৯ তারিখে তাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং সার্টিফিকেটের ফটোকপি নিয়ে চট্রগ্রামে ২ জন অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে বলে। তাদের কথামতো সেখানে গিয়ে আর ফিরে আসেনি সৌরভ।

এসময় সোহেল তাজ বলেন, এই ঘটনা যারা স্বচক্ষে দেখেছেন আমরা তদের কাছে যাবো এবং বিস্তারিত শুনবো। আমি ব্যক্তিগতভাবে সর্বদাই আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। কেউ অন্যায় করলে গণতান্ত্রিক দেশের নিয়মে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়াটাই নিয়ম। আমাকে ছোটবেলা থেকেই সেই বিশ্বাসে মানুষ করা হয়েছে এবং আমি নিজেকেও সেই নীতি এবং আদর্শে সবসময় পরিচালিত করেছি। সৌরভ শুধু আমার ভাগ্নে না, সে এই দেশেরই একটি ছেলে। তাকে জীবিত ফিরে পেতে আমরা সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে