বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৯, ১০:০৪:৫৯

অচেতন শিশু নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, কথিত বাবাকে পুলিশে দিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন এএসপি ইশরাত

অচেতন শিশু নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, কথিত বাবাকে পুলিশে দিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন এএসপি ইশরাত

নিউজ ডেস্ক : অচেতন ও অসুস্থ শিশুকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করার সময় কথিত বাবা-মাকে আটক করেছে পুলিশ। অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে তারা হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে ভিক্ষা করছিলেন। 

এরপর শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পুলিশ সদর দফতরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুলতানা ইশরাত জাহান। বুধবার বিকালে শাহবাগ থানা এলাকায় শিক্ষাভবন সংলগ্ন হাইকোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে জহিরুল নামের ওই ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন। 

এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুলতানা ইশরাত জাহান। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত রয়েছেন। অফিস শেষে বাসায় ফিরছিলেন তিনি।

এএসপি সুলতানা ইশরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমার সন্দেহ হয়। একজন বাবা অসুস্থ শিশুকে নিয়ে কীভাবে সাহায্য চাচ্ছেন। আমি লোকটির কাছে জানতে চাইলে তিনি ঠিক উত্তর না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।’ 

এদিকে শিশুটিকে তার কথিত মা জোসনাসহ দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শিশুটির পিঠে পুরাতন পোড়া জখম রয়েছে। সে খুবই অসুস্থ।

এএসপি বলেন, ‘শিশুটিকে নিয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করি। প্রথমে শিশুটিকে বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে জেনারেল ওয়ার্ডে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। এখানে প্রথমে ভর্তি না নিতে চাইলেও পরে তারা শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি নেন। সেখানে নেওয়ার পর ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা শিশুটিকে দেখে জানান, তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে এখানে রাখা যাবে না। তার এই মুহূর্তে আইসিইউ দরকার।

এএসপি সুলতানা ইসরাত জাহান বলেন, ‘ সেখানকার চিকিৎসকরা কিছুক্ষণ অক্সিজেন দিয়ে রেখে শিশুটিকে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রেফার করেন। পরে আমি অক্সিজেন লাগিয়ে একটি ভাড়া অ্যাম্বুলেন্সে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালীর ওই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেই। মানবিক দিক থেকে শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য আমার যতটুকু চেষ্টা করা দরকার, আমি তা-ই করবো।’

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) শফিউল আলম বলেন, ‘শিশুটির কথিত বাবাকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। শিশুটির সঙ্গে থাকা কথিত মা জোসনা বলেন, তারা হাইকোর্টে ফুটপাতে থাকে। ভিক্ষা করে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে