বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯, ০৮:৪৬:১৪

ফোন করে খোঁজ নেওয়া হয়েছে আমি মরেছি কি না : প্রধানমন্ত্রী

ফোন করে খোঁজ নেওয়া হয়েছে আমি মরেছি কি না : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি জামায়াতের পৃষ্টপোষকতা ছাড়া ২১ আগস্টের মতো ঘটনা সম্ভব না এটা আজকে প্রমাণিত সত্য। এটা নিয়ে আমরা একটা রায়ও পেয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, একুশে আগস্ট গ্রে'নে'ড হা'ম'লায় বেঁচে থাকার কথা নয়। ওরা ভাবেনি যে বেঁচে থাকবো। অনেক ছোট ছোট ঘটনা আমি জানি। যারা হা'ম'লা করেছে তারা এক জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে ফোন করেছে যে আমি মারা গেছি কি না।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের স্মরণে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন আমি ওই এলাকা ছেড়ে আসার সাথে সাথে শুরু হয় লাঠিচার্জ। সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে পানি দিয়ে আলামত মুছে ফেলা হয়। আমি জানতে পেরে নানককে বলি, আলামত নষ্ট করছে তোমরা ওখানে যাও। আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে গ্রেনেড হা'ম'লার স্থলগুলোতে লাল পতাকা পুঁতে আলামত রক্ষার চেষ্টা করে। অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল। সেটি সেনা অফিসার নিয়ে যায়, সে সেটা রাখতে চেয়েছিল বলে সে চাকরি হারায়। কোনো আলামত না রাখার চেষ্টা তারা করেছিল। এ হা'ম'লা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা অনেক কিছু বের করে এনেছেন। এটিও বের করতে পারেন, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ৫ নম্বরে তার শ্বশুরবাড়িতে আগের ১০ মাস থাকতো। ঠিক ১ আগস্ট ক্যান্টনমেন্টের বাসায় কেন চলে যায়, এ সময় ওখানে বসে বসে তার কাজ কী ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ওই দিন বাসায় পৌঁছে আমি সবার খোঁজ নেওয়া শুরু করলাম। আহ'তদের উদ্ধার করতে কাউকে আসতে দেওয়া হয়নি। ঢাকা মেডিক্যালে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকরা হাসপাতাল থেকে চলে গিয়েছিল। আমাদের যারা সমর্থক তারাই সেদিন কাজ করেছে, আমাদের লোকজন র'ক্ত দিয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সারা ঢাকা শহরের হাসপাতালের খোঁজ নিয়েছি। আমি খোঁজে খোঁজে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, পরে বিদেশে পাঠিয়েছি।

তিনি বলেন, শান্তিনগরের ক্লিনিকে সাহারা আপাকে খুঁজে পেলাম। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো, শেখ হাসিনা হ্যান্ডব্যাগে গ্রে'নে'ড এনে নিজে মেরেছে। আমরা স্যু'ইসা'ইড করতে গিয়েছি যেন। অতগুলো গ্রে'নে'ড হাতে করে নিয়ে যাওয়া সোজা কথা নয়। আমি এক্সপার্ট হলাম কবে? ওরা কী না পারে। মিথ্যা অ'পবা'দ ছড়িয়ে দিলো।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত আমাকে হ'ত্যা করতে চেয়েছে, কিন্তু পারেনি। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে এবং দেশের মানুষের শান্তি চায়। কিন্তু যখনই আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায় তখনই বিএনপি গণতন্ত্রের নামে হ'ত্যাকা'ণ্ডে লিপ্ত হয়। বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন আমার খারাপ লাগে। কারণ যারা গণন্ত্রের নামে মানুষ পু'ড়িয়ে মা'রে তাদের মুখে গণতন্ত্র মানায় না।

তিনি বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা হ'ত্যা করেছে। প'ঙ্গু করেছে। অ'ত্যাচা'র করেছে। চোখ তুলেছে। পা কে'টে দিয়েছে। কত পরিবারকে ধ্বং'স করেছে। ঠিক হা'নাদার পাকিস্তানি বাহিনী একাত্তরে আমাদের ওপর আ'ক্র'মণ করেছে, হ'ত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ঠিক বিএনপি একইভাবে। এখানে জিয়াউর রহমান শুরু করেছিল। এরশাদও সেই একই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে। খালেদা জিয়াও সেই একই প'দা'ঙ্ক অনুসরণ করেছে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ যেন কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে