নিউজ ডেস্ক: ঘা'তক-দালাল নির্মূ'ল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্যই ৩৭০ ধারা বাতিল জরুরি ছিল। কারণ বিশেষ মর্যাদার নামে তারা বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। ৩৭০ ধারা থাকার কারণে কাশ্মীর উন্নয়নের ধারা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ভারতের অন্য রাজ্যগুলো থেকে তারা পিছিয়ে। কাশ্মীরে শিক্ষার উন্নয়ন হলো। কিন্তু শিল্পায়ন হলো না। এতে হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার তৈরি হতে থাকল। হাজার বছর ধরে হস্তশিল্পে তারা সুনাম কুড়িয়ে আসছে। কাশ্মীরি শাল, চাদর জগৎখ্যাত। কিন্তু ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিল না। শিল্পায়ন করতে হলে বিনিয়োগ দরকার। কিন্তু বিনিয়োগের মতো অর্থ ছিল না তাদের।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান কাশ্মীর দখ'লের চেষ্টার মধ্য দিয়েই পরিবর্তনটা ঘটতে থাকল
৩৭০ ধারা কাশ্মীরে ভারতের পুঁজি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। শিল্পায়নের জন্য জমির দরকার। ভারতের শিল্পপতিরা কাশ্মীরে জমি কিনতে পারেনি। আমি কাশ্মীর ঘুরে এসে যে বই লিখেছিলাম, সেখানে ৩৭০ ধারা বাতিলের কথা বলেছি। ।
প্রসঙ্গত, শাহরিয়ার কবির একজন সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। একজন খ্যাতনামা শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ঘা'তক-দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাংবাদিকতা ও গবেষণার স্বার্থে কাশ্মীরে গেছেন বহুবার। লিখছেন, কাশ্মীরের সং'গ্রাম-রাজনীতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে। সম্প্রতি কাশ্মীর, আসাম, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজ- এর। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি নিজস্ব মতামতও ব্যক্ত করেন।
সূত্র- জাগোনিউজ