রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:০৬:৫৮

কোনও ক্যাডার বাহিনী পোষা যাবে না, নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার হুঁশিয়ারি

কোনও ক্যাডার বাহিনী পোষা যাবে না, নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার হুঁশিয়ারি

নিউজ ডেস্ক : কোনও নেতার ক্যাডার বাহিনী পোষা যাবে না বলে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্যাডার পলিটিক্সের কোনও স্থান নেই, যারা ক্যাডার পলিটিক্স করবেন এবং তাদের লালন-পালন করবেন তাদের বরদাস্ত করা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ যেভাবে দমন করেছি অস্ত্রবাজদেরও সেভাবেই দমন করা হবে। গত রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

বৈঠকে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জানান, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অপসারণ করে প্রথম সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও প্রথম যুগ্মসাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। 

বৈঠকসূত্র জানান, ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মা'দক সেবন, চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে যায়। সেগুলো তদন্ত করে সত্যতা মেলে। এ ঘটনায় ব্যাপক বিরক্ত ছিলেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল ছাত্রলীগের এ দুই শীর্ষ নেতাকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, অপকর্ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল সেই বার্তা দিয়েছেন। বৈঠকে কথা প্রসঙ্গে ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির আওয়ামী লীগে স্থান নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু ঘটনার জন্য আমার অর্জন যেন ব্যাহত না হয়। আওয়ামী লীগে ক্যাডার পলিটিক্সের কোনো স্থান নেই। যারা ক্যাডার পলিটিক্স করছে এবং ক্যাডারদের মদদ দেবে তাদের স্থান আওয়ামী লীগে হবে না। যারাই দাম্ভিকতা দেখাবে, মানুষকে কষ্ট দেবে, সরকারের সুনাম নষ্ট করবে তাদের এক চুলও ছাড়া হবে না। অপরাধীকে আমি ছাড় দেব না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সবার সঙ্গে সহনশীল আচরণ করতে হবে। বিশাল বহর নিয়ে কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। আপনাদের হোন্ডাবহরের কারণে মানুষ যেন কষ্ট না পায়। মানুষ যেন পেছন থেকে কোনো কথা না বলে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যারা মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে আমি তাদের ছাড়ব না। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানসহ আট সাংগঠনিক সম্পাদক তাদের রিপোর্ট পেশ করেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে